Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুতে আদালতের প্রথম শাস্তি ঘোষণা, ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৩২ পিএম

২০১৩ সালে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইন প্রণয়নের পর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় কোন মামলার রায় হয়েছে বুধবার। ২০১৪ সালে পুলিশের হেফাজতে জনি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৫ জন আসামীর মধ্যে তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তা এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা৷ অপর দু্ই জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে কোনো মামলায় দেশে এটাই প্রথম রায় হওয়ায় সরব প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দেয়ার দৃষ্টান্ত তৈরি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট দিয়েছেন।

দিদারুল আলম লিখেছেন, ‘‘রায়ে খুশী হয়েছি।তবে একটা কথা আছে।আইনগুলো মনে হয় তৈয়ার করা হয় রাষ্ট্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে যত কম শাস্তি দিয়ে পারা যায় সে চিন্তা মাথায় রেখে।আদালতে কি সন্দেহাতীতভাবে প্রমান হয়নি যে এরা নিরাপরাদকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে? যদি প্রমান হয় তাহলে মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কেন? আমাদের দেশে মৃত্যুদন্ডের আইনতো রহিত করা হয় নাই।অন্যায়ভাবে একটা মানুষকে হত্যা করা হয়েছে আর তার প্রমাণিত হত্যাকারী কারাদন্ড নিয়ে বেঁচে থাকবে।নিহতের তো বেঁচে থাকার অধিকার ছিল।তাহলে খুনিরা কোন অধিকারে বেঁচে থাকে?’’

মোঃ রবিউল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘সঠিক বিচার অথবা উপযুক্ত সাজা কোনটাই কখনো সমাজের অপরাধকে বন্ধ করতে পারে না। কারন সাজা হয় অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর যা অপরাধী কখনোই অপরাধ করার আগে ভাবে না। আপনারা এটাকে প্রথম বিচার বললেও আপনারা ভুলে গেছেন হয়তো রংপুরের ইয়াসমিন হত্যার কথা, আসামিদের উপযুক্ত সাজা কিন্তু হয়েছিল এবং সাজা কার্যকরও হয়েছিল এমন আরো আছে, যে বিচার গুলো আজ মনের আড়ালে। তাই আমি বলবো সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা দূর করতে হলে মানুষের নীতি নৈতিকতা ও আদর্শের পরিবর্তন করতে হবে। ধন্যবাদ বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে।’’

খন্দকার নুরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘একটি কেইসে রায় হয়েছে মাত্র। কার্যকর হতে এখনো অনেক দেরী।এরকম হাজারো কেইস ঝুলে আছে। সব ক্ষেত্রে এমন রায় হবে কিনা কে জানে। রায়ের পর আপীল আছে, ক্ষমা করার উদাহারণও আছে। এখনই উৎফুল্ল হওয়ার সময় হয় নাই।’’

খলিলুর রহমান লিখেছেন, ‘‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আদালতের রায়ে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। এই রায় দেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে।এই আদেশের কারণে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে।

মোঃ সাইফুল লিখেছেন, ‘‘অনেক দিন পরে একটা ভালো নিউজ পড়লাম, ধন্যবাদ সেই বিচারপতিকে। এদেশে মানুষের সপ্ন ভাঙার মূল হোতা পুলিশ। চুরি ডাকাতি খুন মার্ডার মাদক ব্যাবসা সবকিছুতে ৮০% পুলিশ সদস্য জড়িত।’’

সিরাজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘এরকম অপরাধীদেরকে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় জেলে বসিয়ে বসিয়ে না খাইয়ে একবারে ফাসি দেয়া হোক। এরা পুরো পুলিশ কমিউনিটির বদনাম করে দিচ্ছে।’’

জিয়াউর রহমান টিটু লিখেছেন, ‘‘এরকম কিছু রায় আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।আশা করি সরকার এগুলোতে হস্তক্ষেপ করবে না।’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ