Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজার হুমকির মুখে

সংসদে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাস মহামারী ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজার হুমকির সন্মুখিন হয়েছে। এই পরিস্থিতি অন্যতম কর্মী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ একটি চ্যালেঞ্জ। তারপরেও আমরা আশাবাদী। আমরা জানি রাতের পর দিন আসে এবং ওই দিনটা খুব শিগগিরই আসবে।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ বিধিতে বিবৃতি প্রদানকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী মো. ইমরান আহমদ এসব কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, আমরা দক্ষ শ্রমশক্তি প্রস্তুত রাখতে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও বাজার খোলার সাথে সাথে তাদেরকে বিদেশে পাঠাতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। যদি কোভিড-১৯ পরবর্তি বাজার সাথে সঙ্গিতপূর্ণ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারি, তাহলে আমাদের বৈদেশিক প্রবাসী আয় প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

গণমাধ্যমে নানা ধরণের সংবাদ পরিবেশন হওয়ায় বিভ্রান্তি দূর করতে দেওয়া বিবৃতিতে শ্রমবাজারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলির হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতি মাসে ৬০ হাজার কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। ২০১৯ জানুয়ারি হতে আগস্ট মাস পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। কিন্তু ২০২০ জানুয়ারি হতে আগস্ট পর্যন্ত মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে। কারণ এবছর এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোনো কর্মী বিদেশে যেতে পারেনি। অন্যদিকে করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের অভিবাসন সেক্টরের টাকা অনিয়মিত হওয়ায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কারণে আমাদের কর্মীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ দেশে ফিরে এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, পহেলা এপ্রিল হতে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ১১ হাজার ১১১ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। তাদের অনেকে কাজের মেয়াদ শেষে বা কাজ না থাকায় দেশে ফেরত এসেছেন। যদিও আশঙ্কা করা হয়েছিল অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনার প্রভাবে প্রধানকর্মী নিয়োগকারী দেশ গুলোর শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত ফেরত আসাকর্মীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠেনি। এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে মিশন ও দূতাবাসে একযোগে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।

করোনাকালে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ড তুলে ধরে ইমরান আহমেদ বলেন, যেসকল কর্মী ফেরত এসেছেন বা আসবেন তাদের পুনর্বাসন এবং নতুন কর্মসংস্থানের প্রয়োজনী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। করোনা সংকট মোকাবেলা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে অবস্থানগত বাংলাদেশীদের ১৩ কোটি টাকা জরুরী ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া বিপদগ্রস্ত কর্মীদের দেশে আনা এবং বিদেশ ফেরত কর্মীদের পুনবাসনে সময়পযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের অথবা মৃত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিজ জেলা থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ শর্তে মাত্র ৪ শতাংশ সরল সুদে ৫ বছর মেয়াদী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশ ফেরত কর্মীদের ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আরো ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়াও বিদেশ ফেরত কর্মীদের সামগ্রিক কল্যাণ ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৪২৫ কোটি টাকার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রমবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ