পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ট্রেনের টিকিট ক্রয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কাউন্টারের পরিবর্তে অনলাইনে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনলাইনে টিকিট পাওয়া যেন ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনলাইনে টিকিট ছাড়ার এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যেই সব টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছে নিত্যদিন। এ যেন ভ‚তের আছর অনলাইন টিকিটিং- এ।
অথচ রেল স্টেশনের আশে পাশে চিহ্নিত কিছু দোকান ও প্লাটফর্মের কালোবাজারিদের কাছে দ্বিগুণ টাকা দিলেই মিলছে কাঙ্খিত টিকিট। মূলত অনলাইন টিকিট নিয়ন্ত্রণে একটি চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। আর এ চক্রের মূল হোতা স্টেশনে কর্মরত রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং রেলওয়ের টিকিট নিয়ন্ত্রণকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস্ লিমিটেড (সিএনএস) এর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি।
জানা যায়, সৈয়দপুর থেকে বর্তমানে ঢাকা রুটে নীলসাগর, খুলনা রুটে রুপসা ও সীমান্ত এবং রাজশাহী রুটে বরেন্দ্র ও তিতুমীর এক্সপ্রেস নামের ৫টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনে বরাদ্দকৃত আসনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে দেয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী ৫ দিন আগে ঠিক সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় টিকিট কাটা। কিন্তু প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে ৬ টা ১ কিংবা ২ মিনিটেই সব টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, এক্ষেত্রে অনলাইনে রেলওয়ের টিকিট নিয়নন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস এর স্থানীয় এক প্রতিনিধির নেতৃত্বে গড়ে ওঠেছে একটি সিন্ডিকেট। তিনি কারসাজি করে স্বল্প সময়ে অনলাইন থেকে বরাদ্দকৃত সব টিকিট কেটে রাখছে। পরে স্টেশনের আশেপাশে দুটি দোকান, বাজারে একটি স্বনামধন্য খাবারের হোটেলসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দ্বিগুণ দামে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের সাথে জিআরপি পুলিশের দুইজন, একজন বুকিং সহকারী এবং একজন কুলিও জড়িত বলে জানা গেছে।
উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের আতিকুল ইসলাম জানান, সৈয়দপুর থেকে ঢাকার ই-টিকেটের দাম ৪৭৫ টাকা। অনলাইনে কোন টিকিট না থাকায় প্লাটফর্মেই দালালের মাধ্যমে অনেক দরাদরি করে ১২০০ টাকায় টিকিট কিনতে হয়েছে তাকে। শহরের শহীদ ডা: জিকরুল হক রোড তারেক লাইব্রেরীর স্বতাধিকারী আশরাফ জানান টিকিট পাওয়ার আশায় ৫ দিন আগে খুব ভোরে অনলাইনে রেলওয়ের ই-সেবা কেন্দ্রে ঢুকেছিলাম। অনলাইন চালু হলে অনেক টিকিট দেখতে পাই, কিন্তু অনলাইনে থাকা অবস্থাতেই হঠাৎ করে সিএনএস সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। এরপর এক মিনিট পরে সার্ভার চালু হলে দেখি সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। বিষয়টি আমার কাছে ভৌতিক ব্যাপার বলে মনে হয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ের ষ্টেশন মাস্টার এসএম শওকত আলী বলেন, প্লাটফর্মের করোনার কারনে স্টেশন কাউন্টারে টিকেট বন্ধ আছে। অনলাইনে চলছে টিকিট বিক্রি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ই-টিকেট বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না। প্লাটফর্মে কালোবাজারিদের টিকেট বিক্রির বিষয় শুনেছেন কিন্তু তাদের কাউকে চেনেন না বলে জানান। রেলওয়ের টিকেট সিন্ডিকেটের ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন, সিন্ডিকেটের বিষয়ে যদি কেউ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, প্রাথমিক ভাবে যাত্রীদের কিছু সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যাবে। আর অনলাইন টিকিট বিক্রির সিন্ডিকেটের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।