পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশীয় হালকা প্রকৌশল শিল্পের অমিত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, যশোর, বগুড়া ও নরসিংদী জেলায় ডেডিকেটেড লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পপার্ক স্থাপন করা হবে। শিল্পপার্কগুলোতে স্থাপিত শিল্প কারখানার জন্য দক্ষ জনবলের জোগান নিশ্চিত করতে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও স্থাপন করা হবে। বিশ্বমানের প্রশিক্ষক ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে দেশীয় জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় চিহ্নিত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় শিল্পসচিব কেএম আলী আজম সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি হালকা প্রকৌশল শিল্পখাত বিকাশে প্রণীত সুপারিশ তুলে ধরেন।
এ সময় এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী (পারভেজ), বিসিক পরিচালক ড. মো. আব্দুস ছালাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকসহ শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআইসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পখাতে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান করতে ডেডিকেটেড শিল্পপার্ক স্থাপন, এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য অল্প খরচে ফান্ড সরবরাহ ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ, সাবকন্ট্রাক্টিং শিল্পের বিকাশ ও আইন প্রণয়ন এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পনীতি প্রণয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় জানানো হয়, হালকা প্রকৌশল শিল্পের বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি এ খাতের উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপণন নিশ্চিত করতে সাবকন্ট্রাক্টিং আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য বিসিককে দ্রুত আইনের খসড়া প্রণয়নের নির্দেশনা দেয়া হয়।
আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত সাবকন্ট্রাক্টিং বিধিমালার আওতায় উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রির সুযোগ বাড়াতে জাতীয় শিল্পনীতিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
বাংলাদেশে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের বর্তমান বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে ৯ হাজার কোটি টাকার পণ্য দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বিশ্ববাজারে হালকা প্রকৌশল পণ্যের চাহিদা ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৩৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করছে। তৈরি পোশাকের পর এ খাতে মূল্য সংযোজন ও রফতানি সুযোগ দিন দিন বাড়ছে।
এ খাত শ্রমঘন হওয়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও সুযোগ রয়েছে। এ বিবেচনায় রফতানি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের জন্য হালকা প্রকৌশল পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ শিল্পখাতে বিদ্যমান সম্ভাবনা কাজে লাগাতে শিল্প মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।