Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেরুদন্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসায় স্টেমসেল থেরাপি

ইন্টারন্যাশনাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি দিবসে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:১৫ পিএম

মেরুদন্ডে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের চিকিৎসায় আশার আলো হতে পারে স্টেমসেল থেরাপি। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। ‘ম্যানেজমেন্ট অফ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি এন্ড স্কোপ অফ স্টেমসেল থেরাপি’ শীর্ষক সেমিনারে জানানো হয়, কমপ্লিট স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির রোগীদের চিকিৎসাসেবায় আশার আলো দেখাচ্ছে স্টেমসেল থেরাপি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্টেমসেল থেরাপি প্রয়োগ করে ৩২ জন রোগীর মধ্যে ৩১ জনেরই কমবেশি উন্নতি হয়েছে।

# ৩২ রোগীর ৩১ জনেরই অভুতপূর্ব উন্নতি

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। সভাপতিত্ব করেন নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ টি এম মোশারেফ হোসেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুকৃতি দাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুকৃতি দাস জানান, স্পাইনাল কর্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যেসকল রোগীরা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায়, সেকল রোগীদের চিকিৎসাসেবায় স্টেমসেল থেরাপি একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এই চিকিৎসাসেবা ব্যয়বহুল নয় এবং সাধারণ ব্যবস্থাতেই এটা চালু করা সম্ভব। বাংলাদেশে সকল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে এটা চালু করা সম্ভব হলে অনেক দরিদ্র রোগীসহ কর্মক্ষম মানুষের সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, একটি প্রকল্পের আওতায় তিনি কমপ্লিট স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির শিকার ৩২ জন রোগীকে স্টেমসেল থেরাপি প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছেন। ৩১ জন রোগীরই কমবেশি উন্নতি হয়েছে। যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবশ্যই বড় ধরণের একটি সাফল্য।

প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসাশিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে সব ধরণের সহায়তা করে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় মেরুরজ্জুর সামান্য আঘাতও বড় বিপর্যয় ডেকে আনে। একজন মানুষ অচল হয়ে যায়, প্রতিবন্ধী হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সড়ক দুর্ঘটনা, অল্পপানিতে ঝাঁপ দেয়াসহ যেসকল কারণে মানুষ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির শিকার হয়ে থাকে সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির ক্ষেত্রে প্রতিরোধই প্রতিকার ও মুক্তির সর্বোত্তম পদ্ধতি। স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির চিকিৎসায় স্টেমসেল থেরাপিসহ আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত সকল ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি ও গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা প্রদান করবে।



 

Show all comments
  • Md. Babul Mia ২০ মার্চ, ২০২২, ১১:৫৭ এএম says : 0
    আমি ৩ বছর আগে মেরুদণ্ড অপরাশোন করেছি তারপর থেকে চলাচল করতে পারি না।২ পায়ে শক্তি পাই না,,প্রসাব ধরে রাখতে পারি না,,,আমার মতো আরো অনেক রোগী আছে,,,আমার বয়স ২৪ বছর বগুড়া জেলায় থেকে আমি বাবুল
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ