Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষি প্রযুক্তিতে বড় বিনিয়োগের সুযোগ

অ্যামচেমের সভায় সালমান এফ রহমান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:০৯ পিএম | আপডেট : ৮:১০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতে অনেক বড় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ডিম ও মুরগির গোশত উৎপাদন ও ভোক্তা হিসাবে বিশে^র শীর্ষস্থানীয় দেশ। এ খাতের মতো অনেক খাতে কৃষি পণ্য উৎপাদনে বেশ ভালো করছে। তবে কোল্ড চেইনের মাধ্যমে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এ খাতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া পণ্য মূল্য সংযোজন ও বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারেন। বিশেষ করে হালাল পণ্যের বড় বাজারে এদেশে উৎপাদিত পণ্য রফতানির সুযোগ ধরতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষির সঙ্গে প্রযুক্তি ও হিমায়িত সরবরাহ ব্যবস্থা এই তিনটি সমন্বিতভাবে করলে আগানো সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তারা এ খাতে প্রযুক্তি সহায়তা দিতে বিনিয়োগ করতে পারেন। এ জন্য সব ধরণের সুযোগও রয়েছে।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) আমেরিকান চেম্বার অব কামার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত ‘বিদেশি বিনিয়োগের অগ্রধিকার খাত: কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে মূল্য সংযোজন ও ডিজিটাল ইকো পদ্ধতি এবং সবুজ অর্থায়ন’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা থেকে সারা বিশ^ সরে এসেছে। আর বাংলাদেশের কৃষি খাতে অগ্রগতি থাকলেও কৃষি প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে। এর ফলে উৎপাদনে ভালো করলেও কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, সরবরাহ ব্যবস্থা ও বিপণনের ক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি হয়নি। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল কৃষি প্রযুক্তির সমন্বয় ভালো আয় করতে বড় বিনিয়োগের অনেক সম্ভবনা রয়েছে। এই খাতে বিনিয়োগের সুযোগ নিতে পারে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগামী দিনের অর্থনীতি জ্ঞানভিত্তিক। এর জন্য সব খাতে তথ্য ও প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সরকার নীতিমালা তৈরি করেছে। আগামী দিনে বেসরকারি খাতের জন্য জন্য সুবিধানজক নীতি গ্রহণ করেছে বিডা। এখন তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়ান ওয়াগনার বলেন, এ দেশের কৃষি খাতে অনেক সাফল্য থাকলেও ভাবমর্যাদার অভাবে যথাযথ বাজার ধরতে পারছে না। বাজার ধরতে হলে কোল্ড চেইন উন্নয়ন করতে হবে। এর মাধ্যমে রফতানি করলে পণ্যের অনেক মূল্য পাবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি যৌথ অংশদারীত্বে উন্নয়ন করতে পারে। বাংলাদেশের এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তারা।

সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন উদ্যোক্তারা। এ সময়ে ইউএসটিডিএর দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র প্রতিনিধি মিনহাজ আনসারী বলেন, করোনা মানুষকে ডিজিটাল হতে শিখিয়েছে। এখন আগামী দিনে কৃষিসহ সব খাতে এর সুফল মিলবে। এর ফলে আধুনিক প্রযুক্তির কৃষি উন্নয়নে বড় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

পেপসিকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার দেবাশীষ দেব বলেন, পেপসিকো এ দেশে আলু বীজ উৎপাদন ও বীজ সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে কাজ করছে। আগামী দিনে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে অংশীদার খুজছে তাদের কোম্পানি। যাতে কৃষকদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করা সম্ভব হয়।

এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের চেয়ারম্যান সোনিয়া বশির কবির বলেন, কৃষি প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ অনেক বড়। এর মাধ্যমে কৃষকের সমস্যা সহজ সমাধান হবে। উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সব কার্যক্রম কৃষি প্রযুক্তিতে করতে পারবেন।

আইএফসির সিনিয়র কান্ট্রি অফিসার নুজহাত আনোয়ার বলেন, আইএফসি কৃষি খাতের উন্নয়নে সুবিধা দিতে আগ্রহী। বর্তমানে এ খাতে বিনিয়োগের বড় সম্ভবনা আছে। স্থানীয় নানা চ্যালেঞ্জের কারণে পিছিয়ে আছে। এ খাতে সুবিধা বাড়ানো হলে বহু কোম্পানি আধুনিক প্রযুক্তির কারখানা স্থানান্তর করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ