পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটাকে এসি বিস্ফোরণ বলা হলেও কেউ কেউ দাবি করছেন গ্যাস থেকেই মসজিদে বিস্ফোরণ হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবার তার ফেইসবুক পেইজে লিখেন, ‘ইয়া আল্লাহ্ মেহেরবার .... বিস্ফোরনে দগ্ধ নামাজরত মুসুল্লীদের শেফা দান করুন..... আমিন।’
ঘটনার পর পরই এস এম ফরিদ উদ্দিন লিখেন, ‘নারায়নগঞ্জে তল্লা এলাকায় সর্দার পাড়া বাইতুস সালাহ জামে মসজিদে ইশার নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মুসুল্লি দগ্ধ হয়েছেন। সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক! ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পারলে রক্ত অথবা যেভাবেই হউক সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন। না পারলে সকলে সকলের অবস্থান থেকে তাদের জন্য দোয়া ও আর্শীবাদ করুন।’
এমডি জহির উদ্দিন বাবু লিখেন, ‘যারা এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে তাদেরকে আল্লাহ রব্বুল আলামীন জান্নাত দান করুক। আর যারা আহত হয়েছে তাদেরকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার তৌফিক দান করুক, আমিন।’
ফজলুল হক লিখেন, ‘নারায়ণগঞ্জ তল্লা একটি মসজিদে এসি বিস্ফোরণে তিন জন নামাজ পরা অবস্থায় নিহত হাওয়ায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। মহান রাব্বুল আলামীন উনাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। যারা আহত হয়েছেন, হে আল্লাহ আপনি তাদেরকে দ্রুত সুস্থ করে দিন। সবাই দোয়া করুন,আমিন।’
বিল্লাল হোসাইন লিখেন, ‘হে আসমানও জমিনের মালিক, যারা আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে আপনার বাইতুল্লাহতে গিয়েছিল, তাদেরকে আপনি খালি ফিরিয়ে দিয়েন না । যারা শহীদ হয়েছে তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আর যারা আহত হয়েছে তাদেরকে শেফা দান করেন, আমিন।’
এসি বিস্ফোরণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নাজমুল হাসান বিপ্লব লিখেন, ‘আমার কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে এক সাথে সবগুলো এসি বিস্ফোরণ! এই প্রথম শুনলাম। ভালোমতো তদন্ত করলে এর পিছনের রহস্য উম্মেচন হবে। আল্লাহ তোমার মসজিদে যে বা যারা মারা গেছে তাদের জান্নাত নছিব করুন এবং যারা আহত তাদের দ্রুত সুস্থতা দান করুন।’
ঘটনার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে দায়ি করে এমডি আক্তার হোসাইনের প্রশ্ন, ‘তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের গাফিলতের কারণে আজ এত বড় দূর্ঘটনা দায়ভার কে নিবে? ফিরে দিতে পারবে আহত নিহতদের পূর্বের জীবন?
হাফিজুর রহমান লিখেন, ‘৫ বার অভিযোগ দেয়ার পরেও গ্যাস লাইনের লিকেজের সমাধান না করায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।