পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সব বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোতে শ্রেণিভেদে বর্তমান ২০২০ শিক্ষাবর্ষে টিউশন ফি কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। শনিবার এক বিবৃতিতে স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর স্বার্থরক্ষাকারি সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু এই দাবি জানান। তিনি স্কুল-কলেজগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উপরোক্ত দাবি জানান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে দ্রুত পরিপত্র জারি করার অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীর জীবনের নিরাপত্তার জন্য সরকারের নির্দেশে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনার প্রার্দুভাবে বর্তমান ২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্কুল-কলেজ খুলে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। করোনা মহামারির লকডাউনে দেশের অন্যান্য মানুষের মতো শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। কেউ মাসিক বেতন অর্ধেক পাচ্ছেন। আবার কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে চরম দুর্বিসহ দিন কাটাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে অনেক অভিভাবক বাসা ছেড়ে দিয়ে তাদের সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। অনেক অভিভাবক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এগুলো বিবেচনায় না নিয়ে অনেক বেসরকারি স্কুল-কলেজের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপর অমানবিক আচরণ করছেন।
অভিভাবক ফোরামের এই নেতা বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে টিউশন ফি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। শিক্ষা কার্যক্রম তথা শ্রেণির পাঠদান না করা সত্ত্বেও শিক্ষকরা টিউশন ফি আদায় করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন। এহেন অবস্থায় করোনা কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বর্তমান ২০২০ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর টিউশন ফি কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করছি এবং শিক্ষামন্ত্রণালয়কে টিউশন ফি আদায় করা সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুত পরিপত্র জারি করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় স্কুল-কলেজ খোলার সাথে সাথে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে উপরোক্ত দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে এ সংগঠন বাধ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।