পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংগঠিতভাবে রাজপথে নামতে পারলে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে গণতন্ত্রবিরোধীদের সরানো যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন ক্যারিজমেটিক লিডার। তিনি হ্যামিলনের বংশীবাধক। লন্ডন থেকে এসে যখন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিজিট করতে কক্সবাজারে গেলেন তখন দেখলাম পথে পথে লাখ লাখ মানুষ যাওয়ার সময়ে এবং ফেরার সময়েও। তারা নেত্রীকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছে যে, মানুষ তার সঙ্গে আছে, এখনো আছে। আমার বিশ্বাস এই মানুষগুলোকে সংগঠিত করে আমরা যদি রাজপথে নামতে পারি তাহলে গণতন্ত্রবিরোধীদের সরাতে পারবো।
গতকাল বুধবার বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দি দিবস (১/১১ সময় বন্দি দিবস) উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।
বিএনপি বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের কথা তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন নাটক তৈরি করে, এখানে ১/১১‘র সেনা সমর্থিত সরকার তৈরি করা হয়েছে। তার পরে দুই বছর সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে সরকার ছিল এবং একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যে নির্বাচনটা ছিলো ষড়যন্ত্রমূলক। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একবারের জন্যও মাথা নুয়াননি।
আওয়ামী লীগ পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা (আওয়ামী লীগ সরকার) আধিপাত্যবাদের পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে। তারা শুধুমাত্র তাদেরই এজেন্ডা এখানে বাস্তবায়িত করছে। তাদের সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার, জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা-এটাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য-লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই একসাথে কাজ করি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১/১১‘র সরকার দেশে বিরাজনীতিকরণের জন্য এসেছিল। দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা ও মাইনাস টুয়ের নামে মাইনাস ওয়ান অর্থ্যাৎ বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করাই তাদের উদ্দেশ্য। আজকে যারা ক্ষমতায় তারা সেই ধারাবাহিকতার সরকার। মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার যেমনিভাবে গায়ের জোরে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় ছিলো, আজকের সরকারও গায়ের জোরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে এবং একই কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের অধিকার হরণ করছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করছে এবং দেশকে একটা অন্ধকার গহবরে ফেলে দিয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে দলকে সংগঠিত করে রাজপথে
নামতে হবে।
বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।