Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আবরার হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে। গতকাল বুধবার অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আজকের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে এ আদেশ দেন। এদি রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ করে সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল শুনানি শুরু করে বলেন, কারাগারে থাকা সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মালাটি চার্জ শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এই মামলাটি চাঞ্চল্যকর। নির্যাতিত পিতা, নির্যাতিত মা ও সমগ্র বিশ্ব এই বিচারের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে আবেদন করছি। এছাড়া শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অপর প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজি বলেন, মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করার যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। আদালতের কাছে আবেদন করবো আইনের আলোকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
১৩ জানুয়ারি মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পাঠানোর আদেশ দেন। উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রের ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এর বাইরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও ৬ জনের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পলাতক রয়েছেন ৩ জন। মামলায় ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে এবং ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। গত ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত তিনটার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ