Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লার মুরাদনগরে খাল দখল

অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ কাজের সময়সূচি পরিবর্তন

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

সরকারি খাল দখল করে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত স্থাপনা নির্মাণের খবর দৈনিক ইনকিলাবসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর দখলদাররা সময়সূচি পাল্টিয়ে এবার সরকারি ছুটির দিন বেছে নিয়েছে। অভিনব কৌশলে দখলের কাজ যেমন থামানো যাচ্ছেনা, তেমনি প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের জায়গা থেকে দখলদারদের একবিন্দু টলাতে পারছে না। ঘটনাটি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের আওতাধীন বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দরাবাদ মৌজায় সামছুল হক কলেজের সীমানা লাগুয়া এলাকায়। উচ্ছেদাভিযান চালিয়ে সরকারি খালটি দখলমুক্ত করার বিষয়ে ‘আশার বাণী’ শুনিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর।

জানা যায়, দখলদাররা এবার রাতের পরিবর্তে সরকারি ছুটির দিনে খাল দখল করে অবৈধ পাকা স্থাপনার নির্মাণ কাজ করার অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছে। যাতে কেউ অভিযোগ করলেও ছুটির দিনে তাদের কাজে বাধা দিতে পারবে না। গত ২৩ আগস্ট মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পর ২৬-২৭ আগস্ট সরকারি খালের উপর স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখলেও সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ২৮-২৯-৩০ আগস্ট আশুরার সময় পর্যন্ত টানা তিনদিন খাল দখলের জায়গায় পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাল দখলদাররা আগামী শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটির দিনে স্থাপনা নির্মাণ কাজের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

এদিকে, গত ১ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদ সামছুল হক কলেজের প্রিন্সিপাল মাহবুবুল আলম কলেজ সীমানা ঘেঁষে চলমান খালটি দখলের কারণে এখানকার পরিবেশের ক্ষতি, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়া এবং অবৈধ মার্কেট নির্মাণের ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টসহ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘœ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখ করে সরকারি খালের জায়গা থেকে জনস্বার্থে ওই নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, যারা খাল দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দখলদার যেই হোক তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।
জানা গেছে, সরকারি খালের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের শুরুতেই বাধা দেন আন্দিকোট ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ভ‚মি অফিসের লোকজন। পরে বাঙ্গরা থানা পুলিশ এসেও স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়। এরপর মুরাদনগরের সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) সাইফুল ইসলাম কমল সরকারি খাসের খালের জায়গায় কাজ বন্ধসহ নির্মাণাধীন স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেন দখলদারদের। কিন্তু কোনো কিছুতেই তোয়াক্কা করেনি দখলদাররা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ