Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফেস মাস্ক ‘তুরাগ প্রোটেক্স’ এখন বাজারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:৩১ পিএম

চলমান মহামারি করোনার সংক্রমণ ঠেকানোসহ আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মাস্ক ব্যবহার করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউএইচও) এবং সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সাধারণ জনগণের জন্য কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং না পরলে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে। তাই দেশের জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং সাধ্যের মধ্যে বিশ্বমানের সুরক্ষা পণ্য হাতের নাগালে নিয়ে আসতে ঊর্মি গ্রুপ বাজারে নিয়ে এসেছে সুইস প্রযুক্তি (হাইকিউ ভাইরোব্লক) প্রয়োগকৃত তিন স্তর বিশিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফেস মাস্ক ‘তুরাগ প্রোটেক্স’। সুইস প্রযুক্তি (হাইকিউ ভাইরোব্লক) প্রয়োগকৃত তুরাগ প্রোটেক্স মাস্কটি ভাইরাস ধ্বংস করতে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ কার্যকর যা নিরপেক্ষ সংস্থা দ্বারা আইএসও ১৮১৮৪:২০১৯ নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। রিওয়াশেবল ফেব্রিক দিয়ে তৈরি হওয়ায় মাস্কটি বার বার ধুয়ে ২৫ বার পর্যন্ত ব্যবহার করা সম্ভব। এটি খুবই নরম এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারেও আরামদায়ক। পুরুষ ও মহিলাদের ব্যবহারের জন্য তুরাগ প্রোটেক্স অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফেস মাস্ক বিভিন্ন রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। খুব শিগগিরই বাচ্চাদের জন্যও এই মাস্ক পাওয়া যাবে। অ্যান্টি-ভাইরাল মাস্কটি কাপড়ের তিনটি স্তর দিয়ে তৈরি; যার ভিতরের স্তরটি শোষণক্ষমতা সম্পন্ন। মাঝারি স্তরটি হাইকিউ ভাইরোব্লক এনপিজেওথ্রী প্রয়োগকৃত যা ভাইরাস ধ্বংস করতে সক্ষম। এই মাস্কের মাঝের স্তরের জন্য ব্যবহৃত উপাদানগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ ভাইরাস নিস্ক্রিয়তা অর্জনে আইএসও ১৮১৮৪:২০১৯ পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত।

সর্বশেষ বাইরের স্তরটি পানিরোধক বিশেষ কাপড় দ্বারা তৈরি যা হাঁচি কাশি থেকে নির্গতক্ষুদ্র জলকণা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। কাপড়ের এ প্রযুক্তিটি প্রতিবিম্ব চার্জযুক্ত হওয়ায় ভাইরাসগুলোকে আকর্ষণ করে যার সিলভার সালফাইড কাপড়ের সংস্পর্শে আসা সমস্ত ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। এ মাস্ক দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারেও শ্বাস-প্রশ্বাসে কোন সমস্যা হয় না। এছাড়াও মাস্কে নাকের উপর একটা নোস ব্রিজ থাকায় এবং কানে সামঞ্জস্যযোগ্য স্ট্রিং থাকায় মাস্কটি পড়ার পর মুখের সাথে এমনভাবে লেগে থাকে, বাইরের কোন জীবাণু বা ধূলাবালি প্রবেশ করতে পারেনা। উল্লেখ্য যে নোস ব্রিজ থাকার ফলে যারা চশমা পরেন তাদের মাস্ক ব্যবহার করলে চশমা ঘোলা হয়ে যাবার যে সমস্যা সেটি আর হবে না।

এ বিষয়ে ঊর্মি গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ জানান, এই কঠিন সময়ে বিদেশিদের সুরক্ষার জন্য পণ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি দেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে অ্যান্টিভাইরাল ফেস মাস্ক উৎপাদন করেছি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) প্রণীত হাই পারফরম্যান্স মাস্ক এর নীতিমালা অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত বাংলাদেশের প্রথম হাই পারফরম্যান্স (অধিক কার্যক্ষমতা সম্পন্ন) মাস্ক হিসেবে আমরা বাজারে নিয়ে এসেছি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ফেস মাস্ক ‘তুরাগ প্রোটেক্স’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ