পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। তার নানা অবদানের কথা স্মরণ করে সামাজিক মাধ্যমে শোকাবহ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের নাগরিক। তারা প্রণবের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সোমবার দিল্লির আর্মি হসপিটাল রিসার্চ অ্যান্ড রেফারালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন স্বাধীনতা উত্তর সর্বভারতীয় রাজনীতির এই সফলতম বাঙালি। মৃত্যুর পরপর সামাজিক মাধ্যমে এই শোকের খবর আলোচনার শীর্ষে স্থান করে নেয়।
ফেসবুকে বায়াজিদ হোসাইন লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রনব বাবু অনেক ভালো অবদান রেখেছেন। শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ওনাকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন সবকিছু সমন্বয় সাধন করার জন্য। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি উনি সবসময়ই আবেগি ছিলেন।ভারতের কংগ্রেস দল একজন মেধাবী কর্মীকে হারালো।বাংলাদেশ হারালো একজন ভালো বন্ধুকে।তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। শান্তিতে থাকবেন ওপারে।’’
হোসাইন সরদার লিখেছেন, ‘‘ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ছিল।আজ আমরা বাঙালিরা যেমন রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছি মাত্র ১০ লক্ষ। সেই ১৯৭১ সালে এই প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতের আসাম ও কলিকাতায় বাঙালিরা আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ২ কোটি। তাদের থাকা খাওয়া বাসস্থানের জন্য এই প্রণব চট্টোপাধ্যায় সংসদ থেকে বাজেট করে অর্থ সংগ্রহ করেছিল। শুধু তাই নয়, সদ্য বিজয়ী হওয়া বাংলাদেশকে পরিচালনা করার জন্য, শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, আরো অনেক বাঙালি থেকে নেতৃত্ব জন্য কলকাতায় অফিস করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এই বাঙালি বীরপুরুষের কথা, আমরা বাংলাদেশী হিসেবে প্রণব চট্টোপাধ্যায় আত্মার শান্তির কামনা করি।কৃষানীর স্বপ্ন প্রনব মুখার্জির শশুর বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইলে, বাংলাদেশের প্রতি তার আলাদা একটা মনের টান ছিল, বাংলাদেশ একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে হারালো,তাহার প্রয়ানে আমরা গভীর শোকাহত।’’
শাহ আলম লিখেছেন, ‘‘তার জন্য মহান রাব্বুল আলামিন যথেষ্ট, সে তার কর্ম ফলাফল উপভোগ করবে এখন,বলার ছিলো অনেক। কিছু ইসলামের ধর্মীয় আচার বিধান সে অধিকার আমাকে দেয়নি।কারো মৃত্যুর পরে তাকে নিয়ে কথা বলা নিষেধ, বিষয় গুলো খারাপ কিছু হলে।’’
শ্রীবাস বাইদা লিখেছেন, ‘‘উপমহাদেশের একজন সনামধন্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ব্যাক্তিকে হারালো, বাংলাদেশ হারালো একজন আকৃতিম বন্ধুকে।’’
উল্লেখ্য, দিল্লির আর্মি হসপিটাল রিসার্চ অ্যান্ড রেফারালেই সোমবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন স্বাধীনতা উত্তর সর্বভারতীয় রাজনীতির সফলতম বাঙালি এবং ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৫ বছর। তার ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছেন। এক দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং অস্ত্রোপচার, তার উপর করোনা সংক্রমণ— জোড়া ধাক্কা সামলাতে পারলেন না প্রণব মুখোপাধ্যায়।
গত ৯ আগস্ট রাতে নিজের দিল্লির বাড়িতে বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। পর দিন সকাল থেকে তার স্নায়ুঘটিত কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বাঁ হাত নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হচ্ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।