পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে অনলাইন শপিং তথা ই-কমার্স গ্রাহকদের/ ক্রেতাদের অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে। বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটায় মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশই সম্পন্ন হয়ে থাকে ক্যাশ-অন-ডেলিভারি (সিওডি) এর মাধ্যমে অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে ক্রেতা পণ্য হাতে পেয়ে তা যাচাই করে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করেন।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে অনলাইন অর্ডার সর্বাধিক সন্ধানী মাধ্যম হয়ে উঠেছে এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রেও। করোনা থেকে নিরাপদে থাকার জন্য প্রত্যেকে তাদের নিজেদের প্রতি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে মানুষ এখন ক্রমান্বয়ে অনলাইন অর্ডারেই বেশী ঝুঁকে পড়ছে।
এ সকল ক্রেতাদের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে এবং তাদের পণ্য ব্যাবহারের প্রবণতাগুলি পর্যবেক্ষণ করে সম্প্রতি মাস্টারর্কাড ও ইর্স্টান ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী 'ক্যাশলেস পে' সেবাটি চালু করে দেশের বৃহত্তম হোম ডেলিভারি নেটওর্য়াক পেপাররফ্লাই। এই সেবাটি এখন সমগ্র দেশ জুড়েই পাওয়া যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার পেপাররফ্লাইের সাথে যুক্ত হল ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ। এখন থেকে ক্রেতারা তাদের নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরবরাহ করা পণ্যের দাম পরিশোধ করতে পারবেন এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র ৩ টি সহজ ধাপে সম্পন্ন করা সম্ভব। সম্প্রতি উভয় সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সুতরাং দেশের দ্রুত বর্ধমান ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থা, নগদ ব্যবহারকারীরা অনলাইনে তাদের অর্ডার করা পণ্যগুলি খুব সহজে এবং নিরাপদে তাদের দোরগোড়ায় পেতে পারবেন।
এই ‘ক্যাশলেস পে’ সেবার মাধ্যমে ক্রেতারা অনলাইনে র্অডার দিয়ে পণ্য নিজেদের দোরগোড়ায় পাওয়ার ক্ষেত্রে পণ্য গ্রহণের সময় নগদ মূল্য পরিশোধের (ক্যাশ অন ডেলিভারি-সিওডি) পরিবর্তে ডিজিটাল উপায়ে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। 'ক্যাশলেস পে' সেবাটি হলো একটি অগ্রসর প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান। ক্যাশলেস পেমেন্টের ক্ষেত্রে দেশে এটি প্রথম সেবা, যার জন্য কোনো পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিনের প্রয়োজন নেই। ক্রেতারা পেপারফ্লাইর সরবরাহ করা পণ্যের দাম পরিশোধ করতে নিজেদের স্মার্টফোন ব্রাউজার ও তাতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই সহজে ক্যাশলেস পে’র মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। সময়োপযোগী এই উদ্যোগের ফলে ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্ক অনলাইনে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর মাধ্যমে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, দেশের নাগরিকদের জীবনকে ডিজিটালাইজ করার লক্ষ্যে নগদ সর্বদা মানুষের প্রতিদিনের সমস্ত ক্রিয়াকলাপকে সুবিধাজনক এবং আরও গতিশীল করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে চলেছে। এই পার্টনারশিপ সেই লক্ষ্য অর্জনের প্রতিচ্ছবি, যা দেশে অনলাইন শপিংয়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এরই ফলস্বরূপ গ্রাহকরা ক্যাশলেস পে’র মাধ্যমে নগদ অর্থের পরিবর্তে অনলাইন শপিং পরিষেবাটির সুবিধা উপভোগ করবেন। এতে করে ক্রেতারা আগের তুলনায় আরও আরামদায়ক এবং সুরক্ষিত লেনদেনের মাধ্যমে তাদের অনলাইনে অর্ডার করা পণ্যগুলি গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।
পেপারফ্লাই এর চীফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) রাহাত আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের এই উদ্যোগ ডিজিটাল বা প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা ই-কমার্স ইকো-সিস্টেমের প্রসারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এখন থেকে ক্রেতা বা ভোক্তাদের সামনে ক্যাশলেস উপায়ে পণ্যের দাম পরিশোধের নতুন বিকল্প এসে গেছে যার ফলে অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারীদের জন্যও দ্রুত নগদ অর্থ গ্রহণে সুযোগ তৈরি হয়েছে যা প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সম্ভব ছিল না। কারণ তা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এটি সমগ্র অনলাইন ইকো-সিস্টেমে নগদ অর্থের লেনদেন প্রচলিত ব্যবস্থার চেয়ে অধিকতর দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হবে এবং এতে করে অনলাইনে পণ্য বিক্রেতারা আরো বেশি পরিমাণে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হবেন এবং ই-কমার্সের বিকাশে জোরালো ভূমিকা রাখবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটায় দাম পরিশোধের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশই সম্পন্ন হয়ে থাকে ক্যাশ-অন-ডেলিভারি (সিওডি) অর্থাৎ ক্রেতা পণ্য পেয়ে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে। কোভিড-১৯ মানুষকে নগদ অর্থ লেনদেনের পরিবর্তে ডিজিটাল পেমেন্টের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক নোট বা নগদ টাকা র্স্পশ করাও এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকায় মানুষ ক্রমান্বয়ে ক্যাশলেস লেনদেনে ঝুঁকে পড়ছে।
তাছাড়া ই-কর্মাস তথা অনলাইন প্লাটফর্ম ক্রেতা-ভোক্তাদের ঘরে বসইে ডিজিটাল উপায়ে নিরাপদে,স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিশ্চিন্ত মনে নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কেনার সুযোগ এনে দিয়েছে। মাস্টারর্কাড এর সাম্প্রতিক একটি জরিপে দ্যাখা গেছে বশ্বিব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন জানিয়েছেন যে তারা র্বতমান করোনাকালে গতানুগতিক ধারা ছেড়ে অনলাইনভিত্তিক লেনদেন করছেন এবং করোনার পরেও স্থায়ীভাবে এই পদ্ধতিতে কেনাকাটা করতে চান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।