পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) ও দৈনিক দেশবাংলার সম্পাদক ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে তিনি মারা যান। ইনকিলাবকে ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর বড় মেয়ে অনিন্দিতা শবনম কোরেশী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর জন্ম ১৯৪১ সালের ১৪ জানুয়ারি। ৬০-এর দশকের মেধাবী এই ছাত্রনেতা তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি ১৯৬১ সালে ডাকসুর ভিপিও নির্বাচিত হন। অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে তার অবদান ছিল অসামান্য। ৬ দফা ও ১১ দফাভিত্তিক ছাত্র ও গণআন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র হিসেবে দেশবাংলা পত্রিকা বের করেন ড. কোরেশী। ওই সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করলে ওই দলের প্রথম যুগ্ম মহাসচিবও ছিলেন ড. কোরেশী। ২০০৭ সালে তিনি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) দল গঠন করেন। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি ওই দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ধরে ফেরদৌস কোরেশী অসুস্থ ছিলেন। ৬০-এর দশকের অবিভক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, প্রখ্যাত সাংবাদিক, রাজনীতিক, দৈনিক দেশ বাংলার সম্পাদক ফেরদৌস আহমদ কোরেশী দীর্ঘদিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী আছেন। ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কোরেশী। প্রায় অর্ধমাস ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এরপর থেকে বিছানা হয় তার একমাত্র ঠিকানা। প্যারালাইজড হওয়ায় ইশারায় কথাবার্তা বলতেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।