Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২০ উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২০, ৬:৫১ পিএম

আন্তর্জাতিক যুব দিবস (আইওয়াইডি) উপলক্ষে জাগো ফাউন্ডেশন একাধিক বিষয় নিয়ে ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। ইয়ুথ ইন লিডারশিপ, ইয়ুথ ইন ইনোভেশন, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট ইন পলিসি, ইয়ুথ ইন ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট, ইয়ুথ ইন এন্টারপ্রেনিয়রশিপ এবং ইয়ুথ ইন আর্ট এন্ড কালচার, মূলত এগুলোই ছিল ওয়েবিনারের প্রধান বিষয়বস্তু। শনিবার (২৯ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতীয় উন্নয়নে তরুণদের ক্ষমতায়নের ভূমিকা নিয়ে ৬টি ভিন্ন সেশনে আলোচনা করেন বক্তারা। দিনব্যাপী এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, আইপিডিসি ফিন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মোমিনুল ইসলাম, অ্যাকশন এইড, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা হুসেন ইলিয়াস, রবি টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আয়মান সাদিক, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালকরভী রাকসান্দসহ দেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় উদ্যেক্তা ও বিনোদন জগতের তারকারা।

এ বছর ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২০’ এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘গ্লোবাল অ্যাকশন ফর ইয়ুথ এংগেজজমেন্ট’। যেটির আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল কীভাবে স্থানীয়, জাতীয় এবং বৈশ্বিক স্তরে যুবকদের অংশগ্রহণ বিভিন্ন জাতীয় এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান এবং এদের কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে পারে, পাশাপাশি নিয়মনিষ্ঠ রাজনীতিতে যুবকদের প্রতিনিধিত্ব এবং অংশগ্রহণ কীভাবে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়।

নাহিম রাজ্জাক আলোকপাত করেন, কীভাবে ব্যর্থতা থেকে উত্তোরণ এবং শিক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সরকারী কাজের সাথে পরিচিত হওয়া এবং তাদের ইন্টার্নশিপ করা প্রয়োজন যেন তারা আরও দক্ষ কর্মী হিসেবে সামাজিক পরিবর্তনের অংশ হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, কীভাবে দেশের যুবকরা তাদের নিজস্ব সুরক্ষা সম্পর্কে না ভেবে ত্রাণ বিতরণ করে অপরিমেয় সাহস দেখিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ বলেন, যুবসমাজের সাথে সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে তাদেরকে আরও ভালভাবে বুঝতে হবে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমরা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে এবং তাদেরকে আরও মানবতার কাজে অংশগ্রহণে উদ্ভুদ্ধ করতে পারবো।

করভী রাকসান্দ বলেন, যুবকরা সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং প্রয়োজনের সময় তারাই প্রথমে এগিয়ে আসে। তারা হল চেঞ্জমেকার এবং ভবিষ্যতের দেশ নির্মাতা। বর্তমানে, আমাদের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ২৫ বছরের কম বয়সী এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৭০ শতাংশে এ পৌঁছে যাবে। এখন আমাদের এই তরুণ মনকে সজ্জিত করার সময় এসেছে, নইলে আগামীতে আমাদের আর উন্নত বাংলাদেশ পাবো না।

দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো উন্নয়নকারি শিল্পগোষ্ঠী সামিট, এই ইভেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এর পাশাপাশি আইপিডিসি, আনিসুল হক ফাউন্ডেশন, এসবিকে ফাউন্ডেশন , ক্লুডিও এবং বঙ্গো ওয়েবিনার পার্টনার হিসেবে ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ