পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন করোনার ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশও তখনই ভ্যাকসিন পাবে। প্রথম পাওয়া যাবে ফ্রন্ট লাইনারদের জন্য ৩ শতাংশ বা ৫১ লাখ এবং পরবর্তিতে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে তাদের জন্য ২০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৪০ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি) এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট (এএমসি) প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশগুলো এ ভ্যাকসিন পাবে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম এর সঙ্গে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম সাদি, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী, ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসের লাইন ডিরেক্টর ড. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, নন-কমিউনিকেবল ডিজিস এন্ড কন্ট্রোল (এনসিডিসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন অপারেশনাল প্লানের লাইন ডিরেক্টররা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, করোনা প্রতিরোধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত ১৪১টি ভ্যাকসিন উন্নয়ন হয়েছে। এরমধ্যে ২৫টি হিউম্যান ট্রায়ালে রয়েছে এবং মাত্র ৬টি ভ্যাকসিন হিউম্যান ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। আসছে সেপ্টম্বরে গ্যাভির এ সংক্রান্ত বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় কো-ফাইনান্সিং এর মধ্যেমে কতগুলো দেশকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হবে। এক্ষেত্রে স্পেশাল ইন্টারেষ্ট গ্রুপ হিসাবে বাংলাদেশ প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্রন্ট লাইনারদের জন্য চাহিদার ৩ শতাংশ ৫১ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এছাড়া পরবর্তিতে কয়েকটি ধাপে বাকী ২০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। ভ্যাকসিন রাখার জন্যও সব প্রস্ততি রয়েছে। সেটি সিঙ্গেল ডোজ হোক বা ডাবল ডোজ হোক।
এ সময় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রন ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর’র প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, আইইডিসিআর করোনা মহামারি বিষয়ে বেশকিছু গবেষণা করছে। এরমধ্যে ভাইরাসটির বিভিন্ন জিনোম সিকুয়েন্সিং কি ধরনের পরিবর্তন ঘটিয়েছে সেটির গবেষণা চলছে। এছাড়া মৃত চিকিৎসকদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানেও একটি গবেষণা চলমান রয়েছে।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস বিভাগের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, অধিদফতরের অধীনে একটি মিডিয়া সেল গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে সব ধরনের তথ্য মিডিয়া সেলের মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হবে। মিডিয়া সেলে একটি হট নম্বর থাকবে যেখানে মিডিয়াকে তথ্য জানাতে রোস্টার ভিত্তিতে ২৪ ঘন্টা একজন কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।