পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল লিখিতভাবে এই হিসেব নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীরের কাছে হস্তান্তর করেন। জামা দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে বিএনপির আয় কমেছে। ওই বছরে মাত্র প্রায় এক কোটি টাকা আয় করেছে দলটি।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে সভা-সমাবেশ এবং নির্বাচন বাবদ কোনো ব্যয় করেনি বিএনপি। তবে ব্যয় হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম, বিভিন্ন দিবস পালন ও সেমিনার/ওয়ার্কশপে। দলের স্টাফদের বেতন-ভাতা খাতে ৫ লক্ষাধিক এবং ইউটিলিটি বিল বাবদ ৬০ হাজারের মতো টাকা বকেয়া রয়েছে বলে হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আয় কমেছে: ২০১৮ সালে বিএনপির আয় ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো। ২০১৯ সালে আয় হয়েছে এক কোটিরও কম। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ওই বছর দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ করে বিএনপির বড় পরিমাণে আয় করেছিল। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপির আয় ছিল ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৭১০ টাকা। সেখানে দলের ব্যয় হয়েছে দুই কাটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৭ টাকা। এ বছর দলটির ঘাটতি হয়েছে এক কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৭ টাকা। অবশ্য ব্যয়ের মধ্যে ২০১৮ সালের কিছু খাতের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। এর আগের বছর (২০১৮) দলটির আয় ছিল ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ টাকা। বিপরীতে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা।
এ বছর আসবাবপত্র ও প্রশাসনিক খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৬ টাকা। টেলিফোন, ইন্টারনেট, কুরিয়ার সার্ভিস ও পত্রিকা বিল বাবদ ব্যয় হয়েছে সাত লাখ ১০ হাজার ১৩৭ টাকা। এ খাতে পূর্বের বকেয়া পরিশোধ করেছে ২৯ হাজার ৯২২ টাকা। বকেয়া রয়েছে ২৮ হাজার ১২৪ টাকা।
ইসিতে জমা দেয়া হিসাব অনুযায়ী বিএনপির পথসভা/জনসভা/ঘরোয়া বৈঠক এবং নির্বাচন বাবদ কোনো ব্যয় হয়নি। ব্যয় নেই জাতীয় সম্মেলন বাবদও। তবে দলের প্রচারণা/পরিবহন বাবদ ২১ লাখ ৮০ হাজার ২০০, সাংগঠনিক কার্যক্রম বাবদ ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৫, বিজ্ঞাপন বাবদ ১৮ লাখ ৩০ হাজার, প্রকাশনা বাবদ আট লাখ ১২ হাজার ৭৮৪, জাতীয় ও বিভিন্ন দিবস উদযাপন বাবদ ২১ লাখ ৩০ হাজার ৯০০, ত্রাণ কার্যক্রম বাবদ ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯, যাতায়াত বাবদ এক লাখ ৩ হাজার ৩৬৭, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাবদ ২২ লাখ ৪১ হাজার ৬৪০, সেমিনার ওয়ার্কশপ বাবদ ১২ লাখ ৪৩ হাজার, আপ্যায়ন আট লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫, স্থায়ী-অস্থায়ী সম্পদ ক্রয় পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৬৯১, মেরামত ও সরবরাহ খাতে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৩৫ এবং অন্যান্য ব্যয় হয়েছে সাত লাখ ১০ হাজার ৩২৮ টাকা।
প্রসঙ্গত, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব (অডিট রিপোর্ট) নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অবশ্য কোনো দল চাইলে নির্ধারিত সময়ের আগে ইসিতে আবেদন করে সময় বাড়াতে পারে। এ হিসাবে বিএনপি ইসির কাছে একমাস সময় চেয়েছিল।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।