পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রফতানিমুখী পোশাক খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন শর্ত দিয়েছে সরকার। এখন থেকে রফতানিতে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে হলে বিদেশি সুতা ও বস্ত্র ব্যবহার করে উৎপাদিত পণ্য রফতানির সময় ৩০ শতাংশ মূল্য বাড়াতে হবে। অর্থাৎ ১০০ টাকা মূল্যের বিদেশি সুতা ও বস্ত্র দিয়ে পণ্য তৈরি করলে তার রফতানি মূল্য কমপক্ষে ১৩০ টাকা হতে হবে। তবেই অতিরিক্ত সুবিধায় নগদ সহায়তা দেয়া হবে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশে কার্যরত বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সব অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরেক্ষুদ্র ও মাঝারি হোম টেক্সটাইল ও টেরিটাওয়েলসহ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নীট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সকলক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রফতানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে সম্পূর্ণ দেশিয় সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রফতানির বিপরীতে বিদ্যমান ব্যবস্থায় দেশিয় বস্ত্রমূল্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত নগদ সহায়তা সুবিধা বলবৎ রয়েছে। সম্পূর্ণ দেশিয় সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে পণ্যে ব্যবহৃত বস্ত্র মূল্যের উপর নগদ সহায়তা প্রদানের বিদ্যমান এ ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রফতানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বিদেশি সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্তে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রফতানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্তে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে। আলোচ্য ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে উক্ত রফতানির বিপরীতে অতিরিক্ত নগদ সহায়তা গৃহীত হয়নি মর্মে নিশ্চিত হতে হবে।
সম্পূর্ণ বিদেশি কিংবা দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা এবং ডিউটি ড্র-ব্যাক/শুল্ক বন্ড সুবিধা একই সঙ্গে প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে। আলোচ্য নগদ সহায়তা ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং সংযোজনী ফরম -‘ক’ মোতাবেক প্রযোজনীয় দালিলাদিসহ নগদ সহায়তার জন্য পৃথকভাবে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং নিরীক্ষা কার্য সম্পাদন করাতে হবে।
এ সার্কুলার জারির তারিখ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় আবেদনপত্র দাখিলযোগ্য হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।