পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করা সৌদি প্রবাসী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগ (সিটিটিসি)। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। সৌদি আরব থেকে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইনে তিনি যেসব কার্যক্রম চালাচ্ছেন, সেটা দেশে থেকে নাকি দেশের বাইরে থেকে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তিনি সৌদি আরব গিয়ে নিজেকে কথিত ইমাম মাহদী দাবি করেন। তবে তাকে দেশে ফিরে আনার চেষ্টা বলছে বলে জানান তিনি।
সিটিটিসি জানায়, মুস্তাক দীর্ঘদিন যাবৎ ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যামূলক, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য অডিও-ভিডিও আকারে ‘তাকওয়া অনলাইন টিভি’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ও ‘মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে প্রচার করে আসছেন। এতে তিনি নিজেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বংশধর হিসেবে দাবি করেন। এছাড়া স্বপ্নযোগে ইমাম মাহাদী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার বার্তা প্রাপ্ত হয়েছেন বলেও দাবি করছেন তিনি। মুস্তাকের এমন বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে তার কথিত ‘বয়াত’ গ্রহণ ১৯ জনকে গত মে মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
সিটিটিসির ডিসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মুস্তাক নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবি করে অসত্য, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও তথ্য দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা কথিত এই ইমাম মাহাদীর সম্পর্কে জানতে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করবো। একইসঙ্গে তার অপব্যাখ্যায় যেন বিভ্রান্ত হয়ে কোনও ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাÐ করতে না পারে সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, ইমাম মাহাদীর সৈনিক হিসেবে জিহাদে অংশ নেয়ার জন সৌদি আরব যাওয়ার আগে গত ৪ মে ১৭ জন এবং ৭ মে দুজনসহ মোট ১৯ জন গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়।
উল্লেখ্য, মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের ওয়েবসাইটে দেয়া জীবনবৃত্তান্তের তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি নেত্রকোনায়। ২০০৬ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ¯œাতক সম্পন্ন করেন। এরপর মালয়েশিয়া থেকে স্থাপত্য বিদ্যায় ডিগ্রি নেন। ২০১৬ সালে উগান্ডা গিয়ে এক মাস অবস্থান করেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তিনি সৌদি আরব গিয়ে নিজেকে কথিত ইমাম মাহদী দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।