পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে সারাদেশে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে পুলিশ সদস্যরা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন বর্তমানে সেটা অনেকটা কমে এসেছে। গতকাল পর্যন্ত ৬৯ পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। এসময়ে আক্রান্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদর দফতরের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এক সময় করোনাভাইরাস নিয়ে পুলিশের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক থাকলেও বর্তমানে সেটা আর নেই। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, আইজিপির নির্দেশনায় সারাদেশে দ্রæততম সময়ের মধ্যে দুই লাখ পুলিশ সদস্যের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের মধ্যে মাস্ক, গøাভস, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই), হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের মনোবল ঠিক রাখার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের মনোবল ঠিক রাখার জন্য নেয়া হয়েছে বেশ কিছু বাড়তি পদক্ষেপ।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিকল্পনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ শুরু করে পুলিশ। রুটিন দায়িত্বের বাইরে গিয়েও করে নানা কাজ। পুলিশের ২ লাখ সদস্য করোনার শুরু থেকেই মানুষকে সেবা দিয়ে গেছেন। এমনকি প্রথম দিকে তাদের কোনও সুরক্ষা সামগ্রী কিংবা কোনও প্রস্তুতি ছিল না। তাই শুরুতে পুলিশের অনেক সদস্য আক্রান্ত হন। আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে যখন স্বজনরাও এগিয়ে আসেনি, তখন পুলিশ এগিয়ে গেছে। রিলিফ বিতরণের কাজ করেছে। অনেকেই পুলিশের ফেসবুকের ইনবক্সে, ট্রিপল নাইনে ফোন করে বা ক্ষুদেবার্তা দিয়ে সাহায্য চেয়েছেন। গভীর রাতে পুলিশ তাদের ঘরে সাহায্য পৌঁছে দিয়েছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, এসব কার্যক্রম চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ১৬ হাজার ২৩০ পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য দুই হাজার ৭৯৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৪০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন এক হাজার ৯৮৬ জন পুলিশ সদস্য।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে দুই সপ্তাহের মধ্যে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। ২৫০ বেডের এই হাসপাতালকে ৫০০ বেডে উন্নীত করা হয়। এছাড়া পাশের একটি ব্যারাক খালি করে সেখানে আরও ২৫০টি বেড বসিয়ে হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানো হয়। এর বাইরেও ২৫০ বেডের আরও একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করা হয় পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।