Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সমান সুযোগ পাবে

ঢাকা চেম্বারের ওয়েবিনারে সালমান এফ রহমান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২০, ৭:৪১ পিএম | আপডেট : ৮:৪২ পিএম, ২২ আগস্ট, ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, সরকারি সুবিধা ও প্রণোদনার ক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করা হবে না। এমনকি শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিও সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে। একই সঙ্গে অন্যান্য দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর কাঠামাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছরের মধ্যে বৈশি^ক ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশ দ্বি-অংকে (ডাবল ডিজিট) উন্নীত হবে। সালমান এফ রহমান বলেন, খুব শিগগিরই খেলাপি আইন ও কোম্পানী আইনে প্রয়োজনীয় সংষ্কার আনা হবে। এছাড়া গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ সম্পন্ন করা গেলে প্রতিযোগীদেশ সমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

# বিএসইসি’র ‘সাহসী পদক্ষেপে’ পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে

# আগামী বছর ব্যবসা পরিচালনার সূচকে আরও উন্নতি হবে, গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ সম্পন্ন হলে সক্ষমতা বাড়বে

# অন্যান্য দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর কাঠামাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা

গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিয়োগের গতিপ্রবাহে কোভিড-১৯ এর প্রভাব: সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এছাড়াও ওয়েবিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন বাংলাদেশস্থ জাপান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইতো নায়োকি। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম. মাশরুর রিয়াজ। কোভিড চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বডির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, সাম্প্রতিক একটি বৈঠকে এই বিষয়টি উঠেছিল যে বি ও সি ক্যাটাগরির বিনিয়োগকারীরা কিছু সুবিধা ও প্রণোদনা ভোগ করেন, যেগুলো এ ক্যাটাগরির অর্থাৎ শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো পায় না। তখন প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, কেন এমনটা হচ্ছে। বৈঠকে উপস্থিতি অর্থ সচিব বলেছিলেন যে, আগামী অর্থবছর থেকে তারাও এই সুবিধা পাবে।

তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আগামী এক মাসের মধ্যে সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন অর্থ সচিব। বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি, দেশি বিনিয়োগের ওপরও সমান গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, সকলের জন্য কর হার কমাতে সরকার কর জাল অরো বিস্তৃত করতে চায়। ‘দূর্ভাগ্যজনকভাবে, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় জিডিপি ও ট্যাক্সের অনুপাত বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম, এমনকি পাকিস্তানের চেয়েও কম। যেটা ঘটছে তা হলো- যেসব মানুষ ইতিমধ্যেই ট্যাক্স পরিশোধ করছে, আমরা তাদের ওপরই নতুন বোঝা চাপাই। তাই আমাদের আয়করের জাল বিস্তৃত করতে হবে। ইতিমধ্যেই এনবিআর কয়েকদিন আগে ঘোষণা দিয়েছে যে সঠিকভাবে ট্যাক্স আদায়ের জন্য নতুন ভ্যাট মেশিন ইতিমধ্যেই আমদানি করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ‘ব্যবসা সহজীকরণ’ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে সালমান এফ রহমান বলেন, রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক নেতৃত্বের মধ্যে একটি গুরুতর উপলব্ধি এসেছে যে আমাদের সংস্কার করতে হবে। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে। মনোভাবে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এখন যারা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা আছেন, তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। এছাড়া বেসরকারি খাতের মানসিকতাও পরিবর্তন প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এখন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নয়, বরং সেখানকার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরাই নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।

তিনি বলেন, সহজেই পরিবর্তনীয় বিধিবিধান পরিবর্তনের পর সরকার এখন আইনি সংস্কারে নামতে চায়। ব্যবসা সহজীকরণের জন্য দেশের দেউলিয়া আইন পরিবর্তন ও নতুন কোম্পানি অ্যাক্ট প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। সালমান রহমান বলেন, আমরা এখন আত্মবিশ্বাসী। আগামী বছরের অক্টোবরে যখন নতুন র‌্যাংকিং প্রকাশিত হবে, তখন বাংলাদেশের অবস্থান ডাবল-ডিজিটে উন্নীত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি ও মার্কেট ক্যাপিটাইলেজেশনের অনুপাত বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। তিনি এক্ষেত্রে সিকিউরিটি স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন নেতৃত্বকে ‘সাহসী পদক্ষেপে’র জন্য ধন্যবাদ জানান, যার কারণে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, অতীতে স্টক মার্কেটকে জুয়ার ক্যাসিনো হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। মানুষ এখন আগের চেয়ে শিক্ষিত। মানুষ এখন সঠিক স্টক বেছে নিচ্ছে। যখনই কোনো সন্দেহ দেখা যাচ্ছে, তখনই নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ সময় মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে। এছাড়া যেসব ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চায়, কমিশন থেকে দ্রুতই সিদ্ধান্ত দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘসূত্রীতার পুরোনো দিন এখন আর নেই।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, এসইজেড অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতে বিনিয়োগ করলে উদ্যোক্তারা ২০ শতাংশ ক্যাশ ইনশিয়েটিভ পাবে। তিনি জানান, মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি কমে ১০ শতাংশের নীচে আনা হবে। তিনি বেজা, বিডা এবং হাইটেক পার্ক প্রভৃতি কর্তৃপক্ষের আরো ক্ষমতায়নের আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি নীতিমালার সংষ্কার এবং বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক বলে মত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশস্থ জাপান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইতো নায়োকি বলেন, জাপানী বিনিয়োগকারীর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং ২০১৯ সালে এশিয়াতে জাপানী বিনিয়োগ ছিল ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশে শূণ্য দশমিক ০৯ শতাংশ জাপানীজ বিনিয়োগ এসেছে। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক অর্থনীতি এবং এশিায় অঞ্চলে আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনে জাপানের পক্ষ হতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অফ মিশন জোঅ্যান ওয়াগনার বলেন, বাংলাদেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী খাতে আমেরিকান কোম্পানীগুলোর বিনিয়োগ রয়েছে এবং কোভিড-১৯ এর কারণে ডিজিটাল অর্থনীতি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বায়ো-টেকনোলোজি প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করতে পারে। তিনি বৈদিশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন। জোঅ্যান ওয়াগনার বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উদ্যোক্তাদের তৈরিতে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের উপর জোরারোপ করেন।

জেট্রো’র বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি ইউজি এন্ডো বলেন, বর্তমানে ৩১০টি জাপানী কোম্পানী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে, যা গত ১০বছরে চারগুন রেড়েছে। তিনি বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে বাংলাদেশকে করনীতিমালার সংষ্কার ও আধুনিকায়, নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজতরকরন সহ সার্বিকভাবে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে আরো বেশি গুরুত্বারোপের আহ্বান জানান। মোটারসাইকেল উৎপাদন বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতিবছর ৫ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে এবং আশা প্রকাশ করেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। তিনি বলেন, আমাদের মত উন্নয়নীলদেশে করোনা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক বিনিয়োগ উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে যেতে পারে। এ জন্য সময়োপযোগী সহায়ক নীতিামালা প্রণয়ন ও সংস্কার, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের আরো শক্তিশালীকরণের উপর জোর দিতে হবে।

পলিসি এক্সচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান ড. এম. মাশরুর রিয়াজ বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে নতুন পণ্য উৎপাদন, উদ্ভাবন, অবকাঠামো, বাজার ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

স্যামসং-ফেয়ার ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য দ্রুততম সময়ে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সুবিধা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরী।

আব্দুল মোনেম লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম বলেন, আমাদের দেশে ভূমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতা অত্যন্ত প্রকট এবং এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।

অ্যামচেম-এর সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পক্ষ হতে হয়রানি মুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কাস্টমস আইন ও খেলাপি আইনের যুগোপযোগী করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য, ঔষধ, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও তিনি বন্দরসমূহের অটোমেশন ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক বলে মত প্রকাশ করেন।

বিল্ড-এর চেয়ারম্যান আবুল কাসেম খান বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে স্বাস্থ্যখাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি চীনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক ও কোটা মুক্ত সুবিধা প্রবেশাধিকারের বিষয়টি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে দ্রুততম সময়ে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তাবয়ন খুবই জরুরী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ