Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আমদানি ও উৎপাদনের মূসক একই রকম হবে : শিল্প প্রতিমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২০, ৬:১৬ পিএম

হালকা প্রকৌশল শিল্প পণ্য আমদানি ও উৎপাদন উভয় ক্ষেত্রে একই রকম মূসক ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

শনিবার (২২ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) ও যুগান্তরের যৌথ উদ্যোগে হালকা প্রকৌশল শিল্প খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনলাইনে জুম প্ল্যাটফর্মে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম। বিটাকের মহাপরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

রূপকল্প ২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হালকা প্রকৌশল খাত অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালকে ‘হালকা প্রকৌশল পণ্যবর্ষ’ ঘোষণা করেন। ঘোষণার আলোকে শিল্প মন্ত্রণালয় দেশীয় এ শিল্পখাতের সব সম্ভাবনাকে দেশের উন্নয়নে ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি, মোটর পরিবহন, নৌযান চলাচল, মুদ্রণসহ অন্যান্য সব শিল্পকারখানার জন্য যাবতীয় স্পেয়ার পার্টস বা খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি এবং মেরামতের ক্ষেত্রে দেশের হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। দেশে হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতে ৫০ হাজারের অধিক কারখানায় সরাসরি আট লাখ এবং পরোক্ষভাবে আরও প্রায় ৬০ লাখ লোকের জীবিকা নির্বাহ করছে।

পৃথিবীতে হালকা প্রকৌশল খাতের বাজারের পরিমাণ প্রায় আট ট্রিলিয়ন ডলার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী এ বিশাল বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস খাতের মতো হালকা প্রকৌশল খাতকেও সব ধরনের সহায়তা দেয়ার বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

শিল্প সচিব বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশে উৎপাদিত হালকা প্রকৌশল শিল্প পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের পলিসি সাপোর্ট দেয়া হবে। এ খাতের জন্য একটি পৃথক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলমান বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শিল্প সচিব এ খাতের জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন এবং দেশের দক্ষ ও মেধাবী জনশক্তির দেশে অবস্থান নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

গোলটেবিল বৈঠকে ইঞ্জিনিয়ারিং মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান এনডিসি, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম, বিটাকের পরিচালক ড. ইহসানুল করিম, বুয়েটের প্রফেসর কামাল উদ্দিন, এমআইএসটির প্রফেসর ড. এ কে এম নূরুল আমিন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আল বেরুনী ও ডেপুটি চিফ মো. রায়হান উবায়দুল্লাহ অংশ নেন।

বক্তারা সম্ভাবনাময় দেশীয় হালকা প্রকৌশল খাতের উন্নয়নে বিদ্যমান কর কাঠামো পুনর্বিবেচনা করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের অবস্থান দৃঢ় করার পরামর্শ দেন। এছাড়া বিদ্যমান দক্ষ ও অদক্ষ জনবলের যুগোপযোগী দক্ষতা অর্জন ও উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা নিশ্চিতের ওপরও বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ