Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনায় ক্ষত-বিক্ষত : পুনরুজ্জীবিত চিংড়ি শিল্প

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১১:৫৯ পিএম

বৃহত্তর খুলনাঞ্চলের প্রধান অর্থনীতির যোগান হয়ে থাকে চিংড়ি থেকে। করোনায় এই চিংড়ি শিল্প প্রায় ডুবতে বসেছিল। প্রান্তিক চাষি থেকে শুরু করে রফতানিকারকরা পড়েছিল বিপাকে। একদিকে উৎপাদন খরচ বেশি আর অন্যদিকে বিশ্বের চিংড়ির বাজার মন্দা। সব মিলিয়ে সঙ্কট কাটিয়ে মহামারি করোনায় ক্ষত-বিক্ষত চিংড়ি শিল্প ফের পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে।
এ বছরের শুরুতে ঋণগ্রস্ত চাষিরা চিংড়ির উৎপাদন দেখে অনেকটা আশায় বুক বেধে ছিলেন। মাছ বিক্রি করে তাদের ধারদেনা মিটবে। কিন্তু হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে।
এদিকে, এখন বাগদা চিংড়ির ভরা মৌসুম শেষ পর্যায়ে। খুলনাঞ্চলের লক্ষাধিক বাগদা চিংড়ির ঘেরে ব্যাপক হারে চিংড়ি আহরণ চলছে। কিন্তু গত ৬ মাস পূর্বে বাগদা রেনু ঘেরে অবমুক্ত করে যখন মাছ ধরার মৌসুম শুরু হয় তখনই নেমে আসে করোনার বিপর্যয়। করোনা শুরু হওয়ায় চাষিরা মাছ ধরে অর্ধেক মূল্যে খোলা বাজারে বিক্রি করতে শুরু করে। রফতানিতে ধস নামায় ফিস প্রসেসিং কোম্পানি ও রফতানিকারকরা উপযুক্ত দামে মাছ ক্রমে অনীহা প্রকাশ করে। ইউরোপিয়ান দেশ ও অন্যান্য বিশ্ব বাজারে চিংড়ি রফতানি ২৫ ভাগে নেমে আসে। এ অবস্থায় চিংড়ি সাথে সংশ্লিষ্ট প্রান্তিক চাষি থেকে শুরু করে ঘের মালিক জমির মালিক মাছের ডিপো ফড়িয়া আড়ৎদার এমনকি খুচরা পাইকারি ও বড় বড় এজেন্টসহ খোদ মাছ কোম্পানিগুলোতে চরম বিপর্যয় নেমে আসে।
চাষিরা জানান, এ অঞ্চলে পৌষ-মাঘ মাসের শুরুতে পানি সেচ দিয়ে পুরানো মাছ ধরে এবং ঘের শুকিয়ে ফেলে। এরপর নানা পরিচর্যার পর নতুন করে পানি দিয়ে তারা ঘেরে চিংড়ির রেণু পোনা ছাড়তে শুরু করে। বাংলা প্রতি বছরের শুরুতে চাষিরা তাদের পুরানো হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে নতুন করে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, এনজিও, দাদন ব্যবসায়ী ও সুদখোর মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে এভাবে চলে আসলেও মহামারি করোনার প্রভাবে এ বছর চরম অর্থ সঙ্কটে থাকার কারণে চাষিরা মহাবিপাকে পড়ে।
অবশেষে গত দু’সপ্তাহ ধরে চিংড়ির দাম বেড়েছে। কিছুটা হলেও চাষির মুখে হাসি ফোটার পাশাপাশি গোটা সেক্টর সংশ্লিষ্টরা নড়ে চড়ে বসেছে। আগামী ১ মাসে যে রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে তা গত আড়াই মাসের চেয়েও বেশি হবে বলে জানান কসমস সী ফুডের এমডি মো. মনির হোসেন।
তিনি জানান, গলদা চাষিদের ঘেরে তারা নতুন করে মাছ দিয়েছে। মাছের গ্রেড এখন ২০-৩০। আগামী শীত মৌসুমের পূর্বেই এ মাছে ব্যাপক লাভজনক হবে বলে আশা করছি। ফলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি এখন মন্দা নয় বরং চাঙা হচ্ছে। এ ব্যাপারে চিতলমারী অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. আল আমিন হোসেন জানান, সরকারিভাবে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার চিঠি এসেছে। খুব শিগগিরই কৃষকদের মধ্যে ঋণ বিতরণ শুরু হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ