পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অগ্রণী ব্যাংকের একাউন্ট থেকে বিকাশ একাউন্টে টাকা আনা এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা জমা দেয়াসহ অগ্রণী ব্যাংক লেনদেন এখন করা যাবে বিকাশে। এর মাধ্যমে সারাদেশে অগ্রণী ব্যাংক এর এক কোটিরও বেশি গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং লেনদেন আরো সহজ, নিরাপদ এবং সময়-খরচ সাশ্রয়ী হলো। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংক এবং দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ যৌথভাবে প্রথমবারের মত এই দ্বি-মুখী সেবা (অগ্রণী হতে বিকাশ এবং বিকাশ হতে অগ্রণীতে টাকা লেনদেন) চালু করেছে।
বৃহষ্পতিবার (২০ আগস্ট) ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে এই সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। অনুষ্ঠানে আরো সংযুক্ত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের পরিচালকরা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক, ব্যাংকের এমডি এবং সিইও মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম, বিকাশ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর এবং চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের সদিচ্ছায় পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে অগ্রণী ব্যাংকের সেবা বিকাশের মাধ্যমে মানুষের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের দেশের মোবাইল আর্থিক সেবার খ্যাতি বিশ্বজোড়া, এই উদ্যোগে সেই সাফল্যে আরো একটি পালক যুক্ত হলো।
করোনার সময়ে নিরাপদ দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে গ্রাহক ব্যাংকে না এসে দিনরাত (২৪/৭) এই সেবার আওতায় বিকাশ অ্যাপে কয়েকটি ধাপে খুব সহজেই অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক তথ্য সংযুক্ত করে প্রয়োজন অনুসারে লেনদেন করতে পারবেন এবং ৫০০ টাকার অধিক লেনদেন হলে ১০০ টাকার ক্যাশ ব্যাক পাবেন। অ্যাড মানি’র মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা এনে গ্রাহক প্রয়োজন মত বিদ্যুত বিল সহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল দেয়া, বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট করা, মোবাইল রিচার্জ করা, টিকিট ক্রয়, কাউকে টাকা পাঠানো বা ক্যাশ আউট করাসহ সকল বিকাশ সেবা মুহুর্তেই নিতে পারবেন। আবার ডিপিএস বা ঋণের কিস্তি জমা দেয়া, প্রয়োজনে ব্যাংকে না গিয়ে একাউন্টে টাকা জমা দেয়াসহ আরো নানান সেবা ট্রান্সফার মানির মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই নিতে পারবেন।
বিকাশের মাধ্যমে ছোট অংকের এসব লেনদেন সুবিধা ব্যাংকের শাখাগুলোর ওপর চাপ কমিয়ে দেবে এবং বিশেষায়িত সেবার জন্য সেখানে আসা গ্রাহকদের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দেয়ার সুযোগ তৈরি করবে। অন্যদিকে, ব্যাংকিং সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত শাখায় গিয়ে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা না থাকায় গ্রাহক তার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন স্থান থেকে দিনে-রাতে ২৪ ঘন্টা লেনদেনের স্বাধীনতা ও সক্ষমতা অর্জন করবেন।
সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রচলিত ব্যাংকিং পরিবর্তন হচ্ছে। টেকনোলজি দ্রুত মানুষের কাছে সেবা পৌছে দিচ্ছে। টেকনোলজিকে আরও দ্রুত বাস্তবায়নের পথ দেখিয়েছে মহামারি করোনা। ব্যাংকে না গিয়ে কিভাবে কাজ করা যায় এ রকম গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে অগ্রণী ব্যাংকের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে করে সকল পর্যায়ের গ্রাহকের জন্য ব্যাংকিং সেবা আরো সহজলভ্য হলো। অর্থমন্ত্রীর নাানমুখী উদ্যোগে ও সুদুরপ্রসারি ভূমিকায় ব্যাংকিংখাত এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মো. আসাদুল ইসলাম।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পৌছাতে অগ্রণী ব্যাংকের এই উদ্যোগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, এই উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ব্যাংকের গ্রাহকসেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।
অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক মাহমুদা বেগম সময়ের দাবীর প্রতি লক্ষ্য রেখে এরকম একটি সেবা চালু করায় ধন্যবাদ দেন ও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি এবং সিইও মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, গ্রাহককে ব্যাংকে আসতে হবে না, ব্যাংক যাবে গ্রাহকের কাছে, বিকাশের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের লেনদেনের সুযোগে এটাই বাস্তবতা। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর-দেশজুড়ে আমাদের ৯৫৮টি শাখা এবং প্রায় ৪০০টি এজেন্ট ব্যাংকিং এর অগণিত গ্রাহক নতুন এই সেবার কল্যানে তাদের প্রয়োজনমত যে কোন সময় লেনদেন করতে পারবেন। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যাংকের শাখাগুলোর সার্বিক সেবার মানও আরো বাড়াতে এই পদক্ষেপ জোরালো ভূমিকা রাখবে।
বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, আমাদের গ্রাহকবান্ধব ডিজিটাল লেনদেন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ব্যাংকগুলো তাদের সেবাকে আরো সৃজনশীলভাবে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। কেবল অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আনা এবং জমা দেয়াই নয়, ঋণ প্রদান, বিনিয়োগ-এর মত ব্যাংকিং সেবাগুলোও গ্রাহকের জন্য আরো সহজলভ্য করা সম্ভব। অগ্রণী ব্যাংক এর সাথে বিকাশ’র এই যৌথ পথ চলা কার্যকর আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে এক শুভ সূচনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।