Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরো ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

কিশোর কেন্দ্রে ৩ জনকে একইভাবে টর্চারে হত্যা : ময়না তদন্ত রিপোর্ট দাখিল

বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

যশোর কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রের বন্দি ৩ কিশোর হত্যাকান্ডে একইভাবে টর্চার করা হয়েছে বলে ময়ন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের পায়ে ও মাথায় আঘাত করা হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয় মূলত মস্তিস্কে আঘাতেই হত্যাকান্ড ঘটে। তাদের ৩ জনকে একইভাবে টর্চার চালানো হয়। এই তথ্য গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালের সুপার ডা. দীলিপ কুমার রায়।

তিনি বলেন, ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টটি সিভিল সার্জনের প্রতিস্বাক্ষর হয়ে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথেই প্রতিস্বাক্ষর করে পুলিশ সুপারের কাছে কপি দেয়া হয়েছে। উনি আদালতে জমা দিয়েছেন।
এদিকে, কিশোর কেন্দ্রের আরো চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর এ কে এম শাহানুর আলম, সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক ওমর ফারুক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. রোকিবুজ্জামান জানান, আদালতের অনুমতি নিয়ে গ্রেফতারকৃত সহকারি পরিচালক (সুপার)সহ ৩ কর্মকর্তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকি ২ জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার দেখানো ৮ বন্দি কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আদালতে ১৬৪ ধারা দেয়া কেন্দ্রের ৫ জন কর্মচারির সাক্ষ্য রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ কর্মকর্তাদের বক্তব্যে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। তার কথা, জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পৈশাচিক পৈশাচিক নির্যাতনে হত্যাকান্ডের শিকার হয় বন্দি ৩ কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বি, রাসেল সুজন ও নাইম হোসেন। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ প্রথমে বন্দিদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারামারিতে হতাহতের ঘটনা বলে প্রচার চালান। তোলপাড় হয় ঘটনায়। পুলিশ তৎপর হয়ে পুরো ঘটনা বের করে। হত্যাকান্ডের শিকার রাব্বির পিতা খুলনা দৌলতপুরের রোকা মিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ