উচ্চ আদালতের আদেশ অবমাননার অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদসহ তিন জনকে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৬ আসনের এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ। প্রাপ্তির ৭২ঘন্টার মধ্যে চার্জশিট প্রত্যাহার এবং বাতিল চাওয়া হয়েছে নোটিসে। অন্যথায় দুদক চেয়ারম্যান এবং অপর দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। অপর দুই কর্মকর্তা হলেন দুদকের তৎকালিন উপ-পরিচালক মো.জুলফিকার আলী এবং উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। কাজী ফিরোজ রশিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট এম.কে.রহমান নোটিশটি পাঠান। এর আগে গত ৯ আগস্ট সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এতে তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় এক বিঘা সরকারি জমি জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, রাজধানীর ৯/এ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে এক বিঘা সরকারি জমিসহ বাড়িটির (প্লট নম্বর ১০, বাড়ি নম্বর ৬৫) ফিরোজ রশীদ জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন।
নোটিশে বলা হয়, ‘দুদক (সংশোধন) আইন ২০১৬’ এর ধারা ৮ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার দুদকের নেই। তা সত্তে¡ও দুদক মামলাটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি। এ ব্যাপারে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা ও মামলাটি তদন্তের জন্য উপযুক্ত কর্র্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আদেশ চেয়ে ফিরোজ রশীদ ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।
শুনানি শেষে আদালত ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর রুল জারি করে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কে.এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন। নোটিশে বলা হয়, হাইকোর্টের রুল অ্যাবসল্যুট (যথাযথ) হওয়ার বিষয় অবগত হওয়া সত্তে¡ও নোটিশ গ্রহিতারা ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের রায় ও আদেশের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করে একে অপরের যোগসাজশে ৯ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করেছেন, যা আদালত অবমাননার শামিল।

লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন,ওই সম্পত্তি সরকারি নয়,এটা ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এ বিষয়ে মামলা করার কিংবা চার্জশিট দেয়া দুদকের এখতিয়ারে পড়ে না।
#