পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নন-এমপিও চান্দাই কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। কৌশলে শিক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করে তিনটি প্রতিষ্ঠানের মোট ৬৮ জনকে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন সম্পন্ন করিয়েছে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে এসব শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ও ইউএনও আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা চেয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬১ জন, পাশের ভান্ডারদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন এবং দিয়াড়গাড়ফা ডিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের দুইজন মিলিয়ে মোট ৬৮ জন শিক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর কৌশলে সংগ্রহ করেছে চান্দাই কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের অজান্তে প্রিন্সিপাল নিজেই চান্দাই কলেজকে পছন্দের তালিকায় প্রথমে রেখে অনলাইনে ভর্তির আবেদন সম্পন্ন করেছেন।
এক্ষেত্রে চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের প্রধান শিক্ষক গোপনে কলেজের প্রিন্সিপালকে যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করলেও শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র দিতে তালবাহানর আশ্রয় নেন। অপর দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৌশলে তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। পরে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে অনলাইন সেবা কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারে যে, তাদের নামে আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে তারা আর অন্য কোন কলেজে আবেদনও করতে পারছে না, আবার পছন্দের তালিকা পরিবর্তনও করতে পারছে না। এ অবস্থায় নন-এমপিও ভগ্নপ্রায় একটি কলেজে নিজেদের অনিচ্ছাস্বত্তে¡ও ভর্তি হতে হবে এ দুশ্চিন্তায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী শিলা খাতুন জানান, কলেজটিতে শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে, মৌসুমী কিছু শিক্ষক আছেন, তারা কলেজে খুব কম আসেন। প্রিন্সিপালও চাটমোহরের একটি এমপিওভুক্ত মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন।
গোপনে কলেজের প্রিন্সিপালকে শিক্ষার্থীদের তথ্য দেয়ার বিষয়ে জানার জন্য চান্দাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের মোবাইলে বারবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে চান্দাই কলেজের প্রিন্সিপাল বোরহান উদ্দীন জানান, বিষয়টি নিয়ে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ জানান, আমি কলেজের প্রিন্সিপালকে আমার অফিসে ডেকেছি। তার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টি সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।