পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্ত দিয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হলেও আদায় হচ্ছে দ্বিগুণ। যাত্রীও তোলা হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। চট্টগ্রামের গণপরিবহনে চলছে এমন বিশৃঙ্খলা। বাস, মিনিবাস সঙ্কটে বাদুড় ঝোলা হয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। মহানগরীর ১২ রুটের মতো জেলার বিভিন্ন রুটেও সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। দূরপাল্লার বাসের বিরুদ্ধেও আছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। ফিটনেসবিহীন লক্কর-ঝক্কর বাস, মিনিবাসে চলছে যাত্রী পরিবহন।
গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা নাজেহাল হলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা আর মুচলেকা আদায়ের মধ্যে সীমিত রয়েছে প্রশাসনের কার্যক্রম। গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় একদিকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। অন্যদিকে গলাকাটা ভাড়ায় কর্মজীবী মানুষের আয়ের বিরাট অংশ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে যাতায়াতে। এ অবস্থায় গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত অথবা বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে। এই দাবিতে বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী লকডাউনের পর সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ার পাশাপাশি কিছু নির্দেশনাও জারি করা হয়। বাস, মিনিবাসে এক সিট বাদ দিয়ে যাত্রী পরিবহন করতে বলা হয়। যেহেতু বাসে অর্ধেক যাত্রী তোলা হবে তাই ক্ষতি পোষাতে ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়। তবে শুরুতে কিছুটা নিয়ম মানা হলেও কিছু দিন যেতেই চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। কোন কোন রুটে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রী তোলা হচ্ছে বাস ভর্তি করে। দাঁড়িয়েও যাত্রীরা ভ্রমণ করছেন।
বিশেষ করে সকালে অফিস শুরু এবং বিকেলে ছুটির পর গণপরিবহনে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। বাসে ঠাসাঠাসি, গাদাগাদি এমনকি দরজায় ঝুলেও অনেকে ভ্রমণ করছেন। পৌঁনে এক কোটি মানুষের এই মহানগরীর বাসিন্দাদের বিশাল অংশ গণপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। নানা কাজে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসে নগরীতে। তাদেরও ভরসা গণপরিবহন। অথচ নগরীতে নেই পর্যাপ্ত বাস, মিনিবাস, টেম্পু।
পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, নগরীতে যত সংখ্যক বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার এবং টেম্পুর রুট পারমিট আছে বাস্তবে তত গাড়ি রাস্তায় নেই। অনেক গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে। আবার লকডাউনের কারণে টানা তিন মাস বসে থাকায় কিছু বাস, মিনিবাস বিকল হয়ে গেছে। পরিবহন শ্রমিকদের অনেকে লকডাউনে গ্রামে গিয়ে বিকল্প পেশায় জড়িত হয়েছে। এসব সঙ্কটের কারণে রাস্তায় অনেক গাড়ি নামছে না। আবার কিছু বাস নিয়মিত রিজার্ভ ভাড়ায় নিয়োজিত থাকছে। তাতে রাস্তায় গণপরিবহন সঙ্কট আরো প্রকট হচ্ছে।
মহানগরীর বিভিন্ন রুটে ভাড়া দ্বিগুণের বেশি আদায় করা হচ্ছে। আবার নির্ধারিত গন্তব্যে যাচ্ছে না বেশিরভাগ বাস। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। মহানগরী থেকে জেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে বাসচালক ও সহকারীদের প্রতিনিয়ত ঘটছে হাতাহাতির ঘটনা। পরিবহন সঙ্কটকে পুঁজি করে যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকারী দূরপাল্লার বাসেও যাত্রী ভোগান্তি চলছে। গত বুধবার রাতে নগরীর দামপাড়া, একে খান গেইট ও অক্সিজেন এলাকায় বিভিন্ন কাউন্টারে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দামপাড়া বাস কাউন্টারে দেখা যায় সরকারি আদেশ উপেক্ষা করে নিজস্ব ফ্যামেলি প্যাকেজের নামে পাশাপাশি সিটে যাত্রী পরিবহন করছে।
অপরিচিতদেরও পরিবারের সদস্য বানিয়ে পাশাপাশি সিটে বসানোর প্রমাণ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিটি বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। আবার ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে বেশি। অভিযানে সউদিয়া, ইউনিক, শ্যামলী, জোনাকি, তিশা, বিলাসী, অনিমা পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি বাস সার্ভিসকে জরিমানা এবং মুচলেকা আদায় করা হয়। বিআরটিএর উদ্যোগেও নগরী এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।