Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে নদী ভাঙন

ইনকিলাব রিপোর্ট : | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় তীব্র হচ্ছে ভাঙন। এতে দিশেহারা নদী তীরের মানুষ। চাঁদপুরে নদী ভাঙনে ফের হুমকির মুখে শহর রক্ষা বাঁধ। কুড়িগ্রামে ধরলা ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঁঙ্গন গৃহহীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। টাঙ্গাাইলে ভাঙছে যমুনা। সিরাজগঞ্জেও যমুনার ভাঙন তীব্র হচ্ছে। মন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙছে পদ্মা।
কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলাম বেবু জানান, আবারো শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। গত ৪ দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আরো শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। গতকাল সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। লোকজন ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছিলেন। ভাঙন কবলিতদের চোখে মুখে দিশেহারা অবস্থা। দীর্ঘদিনের বসতভিটা গিলে খাচ্ছে রাক্ষুসি ধরলা নদী। জমিজমাও খেয়ে ফেলেছে। সব হারাদের দীর্ঘশ্বাস আর আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠছে পরিবেশ। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, সারডোবের ভাঙন প্রতিরোধে আপাতত বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। পানি নেমে গেলে ৮০০ মিটার অংশ স্থায়ী তীর প্রতিরক্ষার কাজ করা হবে।
ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানান, পৌরসভা ও মহামায়া ইউনিয়নের সংযোগস্থল ছাগলনাইয়া-পরশুরাম তথা ক্যাপ্টেন লিংক সড়কের রৌশন ফকির মাজার এলাকায় ফুলছরি খালের তীব্র ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে ধর্মীয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাজার, দোকানপাট, কবরস্থান, সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। স¤প্রতি টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ী ঢলে ফুলছরি খালের করাল স্রোতের টানে দু’কুলের উত্তর যশপুর সড়ক ও নতুন পাড়া সড়ক দু’টির অধিকাংশই খালে বিলীন হয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ