পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719572068](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সকলের প্রচেষ্টায় আমাদের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান ১৭৬ হতে ১৬৮-এ উন্নীত হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ব্যবসা সহজীকরণ বা ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচক ডাবল ডিজিটে উন্নীত করার নিমিত্তে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সকল অংশীজনদের সাথে সমন্বয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকের মান উন্নীত করতে পারলে আমাদের সময় ও অহেতুক খরচ বাঁচবে। এই দুটোর মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশও অনেক উন্নত হয়ে যাবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিডা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের যে ম্যাপিং করেছে, এটি অত্যন্ত সুন্দর একটি পরিকল্পনা হয়েছে। এর মাধ্যমে একটি লিনিয়ার রেসপন্সবিলিটি অরগানাইজেশন চার্ট তৈরী করা হবে। অর্থাৎ নিশ্চিত করতে হবে যে এটির কোন পর্যায়ে কে কাজ করবে, কে কাজ বাস্তবায়ন করবে এবং এর চূড়ান্ত সার্টিফিকেশন দিবে। প্রতিটি ধাপে আমাদের কাজের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। টাইম লাইন দিয়ে কাজ সমাপ্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে বিডা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করবে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা অতি দ্রæতই আরও একটি সভা করবো। যেখানে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাথে আরো যারা সম্পৃক্ত তারাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিডা আয়োজিত ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি’র ভার্চুয়াল সভায় কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু যেখানে সেখানে ইন্ড্রাষ্ট্রি গড়ে না তোলার বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অবশ্যই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইন্ড্রাষ্ট্রি গড়ে তুলতে হবে। যেখানে সেখানে গড়ে তোলা যাবে না। বিভিন্ন খাতের ইন্ড্রাষ্ট্রির জন্য পৃথক পৃথক অঞ্চল বরাদ্দ করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ এর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এটার বাস্তবায়নে বেশ কিছু জটিলতাও বিশ্বব্যাংক ১০টি সূচকের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোর ব্যবসায়ের পরিবেশের সহজীকরণ প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবসা শুরু, নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুৎপ্রাপ্তি, সম্পত্তি নিবন্ধন, ঋণপ্রাপ্তি,ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থরক্ষা, কর পরিশোধ, সীমান্ত বাণিজ্য, চুক্তি কার্যকর ও দেউলিয়াত্ব মীমাংসা। বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ব্যবসা শুরুর সূচকটি পরিমাপ করা হয় ব্যবসার বাণিজ্যিক বিরোধ মেটাতে প্রয়োজনীয় সময় ও ব্যয় এ-সংক্রান্ত আইনি পদ্ধতির গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে। এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে অগ্রসর হতে হবে। ১০টি সূচকের মধ্যে যে সমস্ত কাজগুলো আগে করলে বেশী মার্কস পাওয়া যাবে সে বিষয়গুলোকে আগে গুরুত্ব দিয়ে আগে সম্পাদন করতে হবে। সভায় এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়।
সভায় এছাড়াও সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, জনপ্রসাশন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।