যেকোনো মূল্যে সা¤প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরকক্ষ থেকে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উদ্যোগে ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পিরোজপুরে আয়োজিত আলোচনা সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ একটি অসা¤প্রদয়িক রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে আবার সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও সা¤প্রদায়িক শক্তি বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলেও শেখ হাসিনা সরকার তাদের কঠোর হাতে দমন করছে। বাংলাদেশে সব ধর্মাবলম্বী সাংবিধানিকভাবে সমঅধিকার ভোগ করছে। সব স¤প্রদায়ের মানুষকে এ অধিকার ভোগ করতে হবে। সবাই মিলে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্ট্রি সুরঞ্জিত দত্ত লিটুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রণজিৎ কুমার দাস, উপপ্রকল্প পরিচালক সৌরেন্দ্র নাথ সাহা ও কাকলী রানী মজুমদার, সহকারী প্রকল্প পরিচালক প্রিয়াংকা শিকদার, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, আইনজীবী চন্ডী চরণ পাল, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সাংবাদিক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল চন্দ্র মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু প্রমুখ।