কমবেশি সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। এর প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ এলাকায় হালকা, গুঁড়ি বৃষ্টি থেকে মাঝারি বর্ষণ হয়েছে। কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ হয়। ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে স্বল্প বৃষ্টি, কোথাও কোথাও হয় বিক্ষিপ্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত। যা ভরা বর্ষাঋতুর শ্রাবণের চিরচেনা বর্ষণ নয়।
এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড টেকনাফে ১০২ মিলিমিটার। ঢাকায় ১৬, চট্টগ্রামে ১৪, সিলেটে ৬, ময়মনসিংহে ২, রাজশাহীতে ৪, রংপুরে ১৬, বরিশালে ২ মিলিমিটার। তবে খুলনায় বৃষ্টি ঝরেনি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩.৮ এবং সর্বনিম্ন ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া পূর্বাভাস মতে, শ্রাবণের বিদায়কালে ও ভাদ্রের গোড়ার দিকে অর্থাৎ আসছে সপ্তাহে বর্ষারোহী মৌসুমী বায়ু আরও জোরদার হতে পারে। এর ফলে দেশজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত এবং এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং বায়ুচাপে পার্থক্যের আধিক্য থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপক‚লের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল রয়েছে।