Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ধানমন্ডি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এমনকি অভিযুক্ত মো. রাসেল নামের ওই যুবক স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় জামিন পেয়ে শ্বশুরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের মুখে থাকা মো. রাসেল নামের ওই যুবক ঢাকার ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফ উদ্দিন ফারুকের ছোট ভাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাসেল ও তার বড় ভাই পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন ফারুক।
জানা যায়, গাজীপুরের বাসিন্দা রাসেলের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে ওই এলাকার বাসিন্দা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাসেলের নেশা করার বিষয়টি বুঝতে পারেন তার স্ত্রী। তবে নেশার টাকার জন্য স্ত্রীকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন তিনি। এমন অভিযোগ করেছেন তার শ্বশুর মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে বুঝি ছেলে নেশাগ্রস্ত। পাশাপাশি যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে সে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। সর্বশেষ গত ২৮ জুন আমার মেয়েকে সারা রাত প্রচন্ড মারধর করে আমাকে খবর দেয় মেয়ের করোনাভাইরাস হয়েছে। আমি যেন মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক ফারুক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
স্ত্রী ও শ্বশুরের অভিযোগ অস্বীকার করে রাসেল বলেন, আমি নেশাজাতীয় কোনো কিছু স্পর্শ করি না। ইসলামের পথে চলি তাই স্ত্রীকে মারধর করার প্রশ্নই আসে না। ছোটবেলা থেকেই আমার কিছুটা মানসিক সমস্যা থাকায় আমাকে আমার পরিবার অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েছে। আমি রক্ত দেখতে পারি না, মাথা ঘুরে পড়ে যাই। খেলতে গেলে হোঁচট খেলে অজ্ঞান হয়ে যাই। স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ নিয়ে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর অত্যধিক চাহিদা থাকায় সেটা আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মো. কায়সার হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মামলা দায়ের পর একাধিক অভিযান করা হযেছে। কিন্তু আসামি পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আসামি জামিনে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তবে হুমকির ব্যাপারে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ