পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিএফআই-সিআইডির কর্মকর্তা পরিচয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিনব প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। তবে পৃথক অভিযানে ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ডিজিএফআইয়ের ভুয়া সহকারী পরিচালক ও দুইজন সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। গত সোমবার সকাল থেকে গতকাল পর্যন্ত রাজধানী মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. শাহিনুল ইসলাম, মো. আকমল হোসেন ও জহিরুল ইসলাম ওরফে দীপক। তাদের মধ্যে শাহিনুলের কাছ থেকে বদলীর তদবীরের চিরকুট, জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি স্যামসাং মোবাইল সেট, বদলি সংক্রান্ত আবেদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়। এছাড়া বাদী দুইজনের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিমকার্ড, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের ভিজিটিং কার্ড ও দুইটি ভুয়া আইডি কার্ড জব্দ করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৬ জুন সকালে মিরপুর মডেল থানার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে মো. শাহিনুল ইসলাম। এ সময় তিনি ডিজিএফআইয়ের সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে বদলির তদবির করতে চিরকুট দেন। পরিচালক তাকে বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চলছে এবং চলবে বলে জানান। তারপরও বিভিন্ন সময় শাহিনুল পরিচালককে ফোন করে বদলির বিষয়ে জোরাজুরি করেন। সেই সময় পরিচালক তাকে সীমা-লঙ্ঘন করতে নিষেধ করেন এবং অফিসিয়াল বিষয় অযাচিত ফোন না করার জন্য বলেন। এমন কথার পরেও গত সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পরিচালকের কক্ষে প্রবেশ করে পুনরায় নিজেকে ডিজিএফআইয়ের সহকারী পরিচালক পরিচয় দেন। এ সময় পরিচালক শাহিনুলকে আইডি কার্ড দেখাতে বললে সে আইডি কার্ড দেখাতে না পারায় সন্দেহ হয়। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিনুল জানায়, সে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট। ২০০৮ সালে র্যাব-১২ থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও গাজীপুরের জয়দেবপুরে অভিযান চালিয়ে মো. আকমল হোসেন ও জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েববেজড ক্রাইম টিমের ইনচার্জ এডিসি আশরাফউল্লাহ জানান, গ্রেফতার আকমল হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি প্রথমে নিজেকে হিউম্যান রাইটস কমিশনের সদস্য পরিচয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে দেশের বিভিন্ন থানার ডিউটি অফিসারের নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর ডিউটি অফিসারের নম্বরে ফোন দিয়ে নিজেকে সিআইডির এসপি পরিচয় দেন এবং ওই থানার একটি এলাকার নাম উল্লেখ করে জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের ওই এলাকায় কোন পার্টি ডিউটিতে আছে তার অফিসারকে বলো আমার এই নম্বরে ফোন দিতে। ওই এলাকার অফিসার ফোন দিলে নিজেকে সিআইডির এসপি পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, তুমি তোমার ডিউটি এলাকার অমুক হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালের মালিক কিংবা পরিচালককে আমাকে ফোনে ধরিয়ে দাও। ওই অফিসার তার কথামতো হাসপাতালের মালিক কিংবা পরিচালককে ফোনে ধরিয়ে দিলে প্রতারক নিজেকে সিআইডির এসপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনি তো আপনার হাসপাতালের নবায়নের জন্য আবেদন করেছেন, আপনার ফাইলটি এখন আমার কাছে। তবে ফাইলটি পাস করে দেবেন বলে বিপুল পরিমাণ টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।