পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক জানিয়েছে, রাশিয়া ভ্যাকসিনের চ‚ড়ান্ত ঘোষণা আসবে আগামীকাল। এরপরেই শুরু হবে মাস ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। রাশিয়ার দাবি, এ ভ্যাকসিন দেহে একটা শিল্ড বা ঢাল তৈরি করবে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, ১২ আগস্ট যে ভ্যাকসিন তারা আনতে চলেছেন, তা বিশ্বে সাড়া ফেলবে। উপকার হবে সাধারণ মানুষের।
কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই ভ্যাকসিন। এ সম্পর্কে মস্কোর গ্যামলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানান, এ ভ্যাকসিন কিছু জড় বা নিষ্প্রাণ পার্টিকলস তৈরি করবে। শরীরের অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতির প্রেক্ষিতে এগুলো তৈরি হবে। সেখান থেকেই তৈরি হবে করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করার মত অ্যান্টিবডি। এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে গ্যামলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে। এ ইনস্টিটিউটই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে, যা আগামীকাল থেকে আসবে সাধারণ মানুষের হাতে।
গ্যামলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিবৃতি জানাচ্ছে, ভ্যাকসিনটি শরীরে প্রবেশ করার পর সাধারণত জ্বর আসতে পারে। কারণ এটি শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি করতে কাজ শুরু করবে। গবেষকদের বক্তব্য, সাধারণ প্যারাসিটামল খেলেই এ জ্বর নিরাময় হবে। এর জন্য অতিরিক্ত চিন্তাভাবনার প্রয়োজন নেই। একমাত্র এ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াই দেখা গেছে এই ভ্যাকসিনটির, যা বেশ সাধারণ উপসর্গ কোনও ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে।
আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানাচ্ছেন, তিনি নিজে ও তার সংস্থার গবেষকরা প্রথম এ ভ্যাকসিন নেবেন। তারপর তা বাজারে ছাড়া হবে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাস্কো আগেই জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেরা আগে এ ভ্যাকসিন শরীরে প্রয়োগ করবে। তারপর গণহারে ভ্যাকসিনেশনের কাজ শুরু করবে সরকার। সেপ্টেম্বরে এ ভ্যাকসিনের ঢালাও উৎপাদন শুরু হবে। অক্টোবরের মধ্যেই প্রত্যেকে পেয়ে যাবেন করোনা ভ্যাকসিন।
এদিকে, রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, আগামীকাল সরকারিভাবে এ ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করবে রাশিয়া সরকার। এ বছরই সাড়ে চার কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে। তবে রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে বেশ প্রশ্ন রয়েছে বিশ্বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, প্রথম ভ্যাকসিন আনার লড়াইয়ে সফল হতেই দ্রুত তা বাজারে নিয়ে আসছে মস্কো। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত না হয়েই এ কাজ করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছিল, প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালেই ভ্যাকসিন নিয়ে আসা যাবে না। এর জন্য কমপক্ষে ৩-৪টি ট্রায়াল প্রয়োজন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।