Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বৈরুতে নিহত মিজানের লাশের অপেক্ষায় মা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতদের একজন মাদারীপুরের মিজান খান। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা মিজানের মা, ভাই, বোন, স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা। মিজানের পরিবারের একমাত্র দাবি সরকার যেন তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। তার মা রেকসনা বেগম বলেন, আমার অনুরোধ ছেলের লাশ যেন দেশে আনা হয়। আমি পুত্রের লাশের জন্য অপেক্ষা করছি। মিজানের তিন বছর বয়সী এক শিশু সন্তান কোথায় যাবে কেউ জানে না।
নিহত মিজানের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তার মা রেকসনা বেগম। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর ঢাকা থেকে সন্তানদের নিয়ে চলে যান মাদারীপুরের কালকিনির মিয়ারহাটের বাবা বাড়িতে। সেখানে ধার-দেনা করে বড় ছেলে মিজান খানকে লেবাননে পাঠান দু’বেলা দু’মুঠো নিশ্চিন্তে খাওয়ার আশায়। লেবাননে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মিজানের নিহতের খবরে এই পরিবারে এখন শোকের মাতম।
মিজানের মা রেকসনা বেগম বলেন, যাদের জন্য আমরা সন্তান মারা গেছে, তাদের বিচার চাই। সরকারের কাছে একটাই দাবি তারা যেনও আমার ছেলের লাশটি অন্তত দেশে এনে দেয়। সরকার যেনও দায়িত্ব পালন করে।
মিজানের ছোট ভাই আব্দুর রহমান বলেন, বাবা আমাদের দেখাশোনা করতো না। মা-ই সব করেছেন। ঢাকায় কখনো কারখানায়, কখনো গার্মেন্টসে কাজ করে সংসার চালিয়েছেন। এরপর অনেক টাকা ধার করে বড় ভাইকে বিদেশে পাঠান সংসারের সুদিনের আশায়। কিন্তু আমাদের সেই অবলম্বনও হারিয়ে গেলো।
নিহত মিজানের মামা বজলুর রহমান বলেন, মিজানের মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। সরকারের কাছে তাদের দাবি, মিজানের লাশটি যেনও অন্তত দেশে আনা হয়।
মাদারীপুরের কালকিনির শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল আলম মৃধা বলেন, মিজানের মৃত্যুর খবরে তার আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাদারীপুরের অনেক মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জীবিকা অর্জনের তাগিদে অবস্থান করছেন। তাদের যে কোন সমস্যায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে গভীর কষ্ট ও বেদনার অনুভ‚তি হয়। আমরা চেষ্টা করবো ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই পরিবারকে কিছু সহযোগিতা করতে। সরকারের কাছে মিজানের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান তিনি। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ