পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের তৈরি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুল মান্নান বলেন, চীনের একটি ওষুধ কোম্পানির তৈরি করা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর সেটি তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য আইসিডিডিআর,বি’র সঙ্গে যোগাযোগ করে। সে বিষয়ে আইসিডিডিআর,বি প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।
বৈঠক শেষে সাচিব সাংবাদিকদের জানান, ‘চীনা কোম্পানির আবেদনপত্রটি আইসিডিডিআর,বি’র মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতর হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। আমাদের করা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়ার পর যদি এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। এরপর এর ফলাফল পেতে ছয় মাস সময় লেগে যাবে। এরমধ্যে যদি বিশ্বের অন্য কোনও দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যায়, তবে আমরা সেটি পাওয়ার জন্যও যোগাযোগ রাখছি। তিনি বলেন, আমরা খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, চীনের সিনোফার্ম ওষুধ কোম্পানিটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি কোম্পানি। এর সঙ্গে চীনা সরকারের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। এই প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ভ্যাকসিন ইতোপূর্বে চীনে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নিরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছে। সেটা বিবেচনায় রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যদি তা সন্তোষজনক হয় তবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর,বি’র মাধ্যমে এ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানী বাংলাদেশে তাদের আবিস্কৃত ভ্যাকসিনের ৩য় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আবেদন করেছে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি দেশের কোভিড ডেডিকেটেড সাতটি হাসপাতালের ৪২০০ স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে এই ট্রায়াল সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে। তবে সরকার এটির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্যান্য দেশের অন্যান্য ভ্যাকসিনের ব্যাপরেও সজাগ রয়েছে।
ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে উল্লেখ করে সচিব আরো বলেন, বিল গেটসের গ্যাভী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। সেপ্টেম্ব^রে তাদের পরবর্তী বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধির উপস্থিতি চেয়েছে। সুতরাং ভ্যাকসিন আবিস্কারের পর গ্যাভীর মাধ্যমেও কিছু ভ্যাকসিন দেশে আগে-ভাগেই আসবে।
টানা বড় উত্থানে পুঁজিবাজার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : একের পর এক বড় উত্থান ঘটছে শেয়ারবাজারে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের বড় উত্থানের মাধ্যমে টানা সাত কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার। মহামারি করোনা শুরুর পর শেয়ারবাজারে এমন টানা উত্থান আর দেখা যায়নি। একদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন কমিশনের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, অন্যদিকে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ায় বাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশিষ্টরা। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ২৯৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মধ্যে টানা সাত কার্যদিবসের উত্থানে সূচকটি ২০৩ পয়েন্ট বাড়ল।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, শেয়ারবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে। যার ফলে এমন টানা উত্থান প্রবণতা দেখা দিয়েছে। একদিকে করোনা সংক্রমণ কমে আসা, অন্যদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নতুন কমিশন বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপে বাজারের ওপর এ আস্থা বাড়ছে। তিনি বলেন, নতুন কমিশন কয়েকটি দুর্বল কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাতিল করেছে। বাজারে এসব তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। সব মিলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি বড় উত্থান হয়েছে অপর দুই সূচকের। এরমধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৯৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে কমেছে ১১৬টির। আর ৯১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৬৭৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৪৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১২৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি দুই লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৫৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭০টির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।