পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাইটস অ্যান্ড সাইট ফর চিলড্রেন (আরএসসি) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডিস্ট্রেসড চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআই) এর বাংলাদেশের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর সালমা কাদির আর নেই। মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে ঢাকায় নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
সালমা কাদির ১৯৬৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন সালমা কাদির। এই খাতে কাজ করা ভবিষ্যতের অনেক নেতৃত্ব তার হাত ধরে বেড়ে উঠেছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরএসসির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু অধিকার ও দৃষ্টি বিষয়ক ডিসিআই এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া তার বক্তব্য ছিল স্মরণীয়। তার আবেগ, সততা, প্রতিশ্রুতি, সংকল্প এবং শিশুদের প্রতি ভালবাসার জন্য আরএসসি ও ডিসিআই কর্মী, দাতা এবং দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার সহকর্মীদের প্রশংসা ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
আরএসসি এর চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘আরএসসি এর জন্য পেশাদারিত্ব, প্রতিশ্রুতি ও মমত্ববোধের সর্বোচ্চ দিয়ে সালমা কাজ করেছেন। তার সঙ্গে কাজ করা ছিল সত্যিই খুব আনন্দের। তাকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।’
ডিসিআই এর প্রেসিডেন্ট ড. ব্রায়ান ডি ব্রফ ড. মজিদের মতো করেই বলেন, ‘সালমাকে হারানো সত্যিই বেদনাদায়ক। তিনি ছিলেন সদা হাস্যোজ্জ্বল। যে কোনও কঠিন কাজ শেষ করেতে তিনি ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।