পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশের ৪৫ লাখ মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তা ও সক্ষমতার বাড়াতে ২০২ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আজ রোববার (২ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, প্রাকৃতিক সৃষ্ট দুযোর্গ মোকাবেলা ও বর্তমান করোনা ভাইরাসের মতো সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়ক হবে। এই প্রকল্পের মধ্যোমে সর্বমোট পাঁচ দশমিক ৩৫ লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আটটি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হবে।
বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, আশুগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মহেশ্বরপাশা, চট্টগ্রাম ও মধুপুরে প্রকল্পটি বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, যেমন ঘন ঘন জলবায়ু বিপর্যয় বা বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারীর মতো সঙ্কট থেকে মুক্তি দেবে। এছাড়া একটি অনলাইন ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেমের (এফএসএমএমএস) গড়ে তোলা হবে যা শস্য সংগ্রহের ব্যবস্থাপনা সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে নারীদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বসবাস গ্রামে। যারা প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুযোর্গের সঙ্গে সংগ্রাম করে। যেকারণে এদের নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণ ও নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা হলেও এই জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়ক হবে। সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনিস বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী গ্রামীণ অঞ্চলে বাস করে। জলবায়ুর ঝুঁকি এসব মানুষের জীবন-জীবিকা ও খাদ্য সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। আধুনিক সাইলো খাদ্য নিরাপত্তাতে নিশ্চিত করতে পারে। বর্তমানে করোনা মহামারীর মতো সঙ্কটের সময় খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।’
বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা ২৭ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং রূপকল্প-২০২১ এর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে আধুনিক খাদ্য গুদাম ও সাইলো নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করায় বর্তমানে দেশে সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের বিদ্যমান ধারণক্ষমতা প্রায় ২১ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। আরও প্রায় ৫ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার আধুনিক খাদ্য গুদাম ও সাইলো নির্মাণের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রকল্প বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।