Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেপরোয়া ঈদ যাত্রা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২০, ৭:৪৮ পিএম | আপডেট : ৭:৪৮ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় আগেই কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এর তোয়াক্কা না করে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাস লঞ্চ ও ফেরিতে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। সরকার বর্ধিত ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছে না বাসের মালিক শ্রমিকরা।

ঈদ যাত্রার একেবারে শেষ প্রান্তে এসে বাসে যাত্রীর চাপ বেশ বেড়েছে। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যবিধি। বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি বাসে দুই আসনে একজন করে যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে সরকারের এ নির্দেশনা মানছে না কোনো পরিবহন। বাসের প্রতি আসনেই যাত্রী নেওয়া হচ্ছে এবং সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া যাত্রীরা বাসে ওঠার সময় গায়ে ও হাতে জীবণুনাশক স্প্রে ব্যবহার, যাত্রী নামানোর পর জীবাণুনাশক দিয়ে বাস জীবাণুমুক্ত করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। যাত্রী নামিয়েই ফের দ্রুত যাত্রী তুলে গন্তব্যে ছুটছে সব বাস।

করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য যাত্রা নিশ্চিত করার তাড়নায় ট্রেনে যাত্রীদের বাড়তি চাপ রয়েছে। কিন্তু রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের হুড়াহুড়ি নেই। যার হাতে টিকিট, তিনিই ট্রেনে চড়ে বসছেন। বিনা টিকিটে আর দাঁড়িয়ে ভ্রমণের জন্য যাত্রী নেই।
তাই ট্রেনে দেখা যায়নি গাদাগাদি অবস্থা। এবার সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল ও টিকিটের ক্ষেত্রে কড়াকড়ির কারণে মানুষের অভিযোগের মাত্রাও কমে এসেছে বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, করোনা মহামারি অর্থনীতির বড় ক্ষতি করলেও ট্রেনের জন্য শাপে বর হয়ে এসেছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানতে টিকিটের কড়াকড়ি, বিনা টিকিটে ভ্রমণ বাতিল ও স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধের কারণে যাত্রী সেবায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। ঈদের পর এই ধারা বিদ্যমান থাকলে ট্রেন ভ্রমণের চিত্র পাল্টে যাবে।

এদিকে, কয়েক দিন আগেও লঞ্চে যাত্রীর ভিড় ছিল না। ঈদ যাত্রার শুরু থেকেই গতকাল বৃহস্পতিবার ভিড় বেড়ে গেছে। সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে হাজির হচ্ছে।
দুপুরের পর এই ভিড় আরো বাড়তে থাকে। গাদাগাদি করে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ডেকে চেপে ভ্রমণ করছে যাত্রীরা। ঝুঁকিপূর্ণ এমন ভ্রমণে যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।
মাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা ছাড়া যাত্রীদের সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ ভরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ছাড়ার ব্যবস্থা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ