Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্ভোগে ঘরমুখো মানুষ

চট্টগ্রামে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

ট্রেনে টিকিট নেই। বাসে সিট খালি নেই। আদায় করা হচ্ছে গলাকাটা ভাড়া। চট্টগ্রাম থেকে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তায় নেমেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই কোথাও। সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই ভিড় জটলা ঠেলে বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে গ্রামে যাচ্ছেন মানুষ। 

পবিত্র ঈদুল আযহার বাকি আর কয়েক ঘণ্টা। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মানুষ ছুটছে আপন ঠিকানায়। অন্য ঈদের তুলনায় করোনা মহামারীর কারণে এবার ঘরমুখো মানুষের স্রোত কিছুটা কম। এরপরও কোথাও ঠাঁই নেই। পরিবহন সঙ্কটে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
গতকাল অফিস শেষ হওয়ার আগেই নগরীর বাস টার্মিনালগুলোতে মানুষের ভিড় জমে। তবে বাস কম থাকায় বিপাকে পড়েন ঘরমুখো মানুষ। দূরপাল্লার বাসের তীব্র সঙ্কট এবার। প্রতি ঈদে রেলওয়ের পক্ষ থেকে একাধিক বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এবার সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ ট্রেন নেই। ফলে বাসে যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
তবে সে তুলনায় বাসের সংখ্যা বাড়েনি। পরিবহন সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনে টানা প্রায় তিন মাস বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক বাস বিকল হয়ে গেছে। আবার সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু হলেও যাত্রী সঙ্কটে অনেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় অনেক বাস অচল হয়ে গেছে। আবার সড়ক মহাসড়কের বেহাল অবস্থার কারণে এসব বাস রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে সময় বেশি লেগে যাওয়ায় দূরপাল্লার বাসের সিডিউলও এলোমেলো হয়ে গেছে।
চট্টগ্রাম থেকে এই অঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসেরও সঙ্কট রয়েছে। নগরীর কদমতলী, অলংকার, একে খান গেইট থেকে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার ৫৭টি রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। বেশিরভাগ রুটে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটের বাস, মিনি বাস ছেড়ে যায় নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, শুভপুর ও কর্ণফুলী সেতুর উত্তর প্রান্ত থেকে। এসব রুটেও তীব্র পরিবহন সঙ্কট।
গতকাল সকাল থেকে কর্ণফুলী সেতুর উত্তরপ্রান্তে ছিলো ঘরমুখো মানুষের ভিড়। বাসের জন্য শত শত মানুষকে সেখানে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বাস না পেয়ে অনেকে পিকআপ, মিনি ট্রাকে গাদাগাদি করে উঠে পড়েন। নগরীর অন্য বাস টার্মিনালগুলোতেও ছিল মানুষের ভিড় জটলা। বাস আসতেই তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। বাসের ছাদেও অনেকে ভ্রমণ করছেন। চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি বাসে ছিলো অতিরিক্ত যাত্রী। বাসের ছাদে, ট্রাকে এমনকি কার্ভাড ভ্যানেও শ্রমিকদের বাড়ি যেতে দেখা গেছে। সংক্রমণ এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নির্দেশনা দেয়া হলেও তা মানার কোন বালাই নেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ