পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এএসআই আসাদুজ্জামানের ট্রাংকে ২৪টি গুলি পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গতকাল বুধবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ২৩ জুলাই আসাদুজ্জামানকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। অস্ত্র আইনে করা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য ১০দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শাহবাগ থানার ওসি মো. আবুল হোসেন জানান, আসাদুজ্জামান বর্তমানে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিমে এএসআই হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আসামির রিমান্ড আবেদন থেকে জানা যায়, ২১ জুলাই বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্টের প্রটোকল ডিউটির সময় শাহবাগ থানার পুলিশ গণিরোডের পুলিশ প্রটেকশন বিভাগের এটিএম বুথের পেছনে একটি ট্রাঙ্ক দেখতে পায়। ট্রাঙ্কের নিচের অংশ জীর্ণশীর্ণ হওয়ায় কিছু অংশ ভেঙে পড়লে ট্রাংক থেকে সাতটি শর্টগানের কার্তুজ পড়ে যায়। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ ট্রাংকটি তল্লাশি করে আরও ১৭টিসহ মোট ২৪টি কার্তুজ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে ট্রাঙ্কটির মালিককে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বুধবার ২২ জুলাই আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ২০১৩ সালে তিনি মিরপুর পিওএম উত্তরে কর্মরত ছিলেন। সে বছর মে মাসে হেফাজত ইসলামের মিছিল চলা অবস্থায় মতিঝিল এলাকায় ডিউটির করার সময় তার কাছে থাকা অস্ত্র-গুলি থেকে কয়েক রাউন্ড ফায়ার করেন। নিয়মানুসারে ডিউটি শেষে পিওএম অস্ত্রাগারে অবশিষ্ট গুলি জমা দেয়ার কথা থাকলেও, আন্দোলনের সময় গুলিগুলো শেষ হয়েছে বলে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত ট্রাংকে কার্তুজগুলো রেখে দেন। ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি হলে তিনি তার ট্রাঙ্ক-বোর্ডিংসহ আব্দুল গণি রোডের পিসিআরের ২ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ তলায় স্থানান্তর হন। কিন্তু এত দিনেও তিনি গুলিগুলো অন্য কোথাও সরাননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।