পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোরিয়া থেকে ১৫০ টি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল বুধবার রাজধানীর রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপির উপস্থিতিতে ১৫০ টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসব যাত্রীবাহী কোচের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্টেইনলেস স্টীল বডি, বায়ো-টয়লেট, স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং ডোরসহ আধুনিক সুবিধা যুক্ত থাকবে। ১৫০ টি কোচের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপিং বার্থ ৩০ টি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ ৩৮টি, শোভন চেয়ার মোট ৪৪টি খাবার গাড়ীসহ শোভন চেয়ার কোচ ১৬টি, পাওয়ার গাড়ীসহ শোভন চেয়ারকোচ ১২টি, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পরিদর্শনের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ী ১টি, খাবার গাড়ী ১টি পাওয়ার গাড়ী ১টি এবং পরিদর্শনকার ১টি। রেলওয়ে সুত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায় এ চুক্তি করা হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক মো. হাসান মনসুর এবং ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পসকো ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি ম্যানেজার। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত অতি পুরাতন ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ প্রতিস্থাপন করা এবং মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ সেকশনে যাত্রীবাহী কোচ এর স্বল্পতা দূরীভূত করার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছেএকইসাথে এসব আধুনিক, নিরাপদ ও উন্নত যাত্রীবাহী কোচের মাধ্যমে যাত্রী সেবা নিশ্চিতকরা, বর্ধিত যাত্রী চাহিদা মিটানোর জন্য নতুন ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়েতে মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচের প্রাপ্যতা বৃদ্ধিকরা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ সেকশনে নিরাপদ ও উন্নত ট্রেন পরিসেবা নিশ্চিতকরা। এসব কোচের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা এবং ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও মালামাল পরিববহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিসেবা বৃদ্ধি করাই কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।
রেওয়ে সুত্র জানায়, ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার সুংশিন আরএসটি-পসকো ইন্টারন্যাশনাল যৌথ কোম্পানী। তারা এসব কোচ চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে কোচ সমূহের সরবরাহ করবে। চুক্তি মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ছয়শত আটান্ন কোটি একাশি লক্ষ ত্রিশ হাজার তেষট্টি টাকা নব্বই পয়সা)। এই প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কারিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী দেশ। রেলওয়েসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করছে। এ কোচগুলো রেলবহরে যুক্ত হলে বেশী পরিমানে সেবা দেয়া সম্ভব হবে। ফলে যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করবে। তিনি কোচের মান চুক্তি অনুযায়ী ঠিক রাখার জন্য ঠিকাদারকে অনুরাধ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।