পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কয়েক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদে মুসলমানরা হাজার হাজার গবাদিপশু কোরবানি দেন। কিন্তু প্রতিবারের মতো সিরাজদিখানের কামারপাড়া সরব হয়ে ওঠেনি। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও এই ঈদে কিছু বাড়তি আয়ের আশায় থাকেন কামাররা। করোনা ও বন্যার কারণে এবার দা, চাপাতি ও ছুরির চাহিদা কমে গেছে। তাই ক্রেতার দেখা না পেয়ে হতাশ তারা।
স্থানীয় স‚ত্রে জানা যায়, প্রতিবছর ঈদুল আজহার সময় কোরবানির গবাদিপশুর গোশত কাটার জন্য প্রচুর দা, চাপাতি, কুড়াল ও ছুরি প্রয়োজন হয়। এসব তৈরি করতে কামাররা বছরের এই সময় থাকেন খুব ব্যস্ত। অথচ এবার করোনা ও বন্যার কারণে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে আছে। এ কারণে কোরবানির গরু ছাগলের গোশত কাটার জন্য তারা এসব উপকরণ কিনতে কামারপাড়ায় আসছে না। এজন্য এখনো জমে ওঠেনি কামারপাড়া।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সিরাজদিখান বাজার, ইছাপুরা, তালতলা, নিমতলা, রাজানগর, শেখরনগর, বালুচরসহ অন্যান্য বাজারে কামাররা অলস বসে সময় পার করছে। নেই আগের মতো তাদের ব্যস্ততা। অতীতে ঈদে তাদের দম ফেলার সময় থাকতো না। কিন্তু এবারের চিত্রটা সম্প‚র্ণ ভিন্ন। কামার পল্লীতে নেই তেমন সাড়া শব্দ। সকল ব্যবসায়ীরা যেন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে সময় পার করছে।
সিরাজদিখান বাজারের কামার সাধন কর্মকার বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি অনেক কম।
ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের কামার কাঞ্চন আলী বলেন, বিক্রি একদমই নেই। অন্য যেকোনো কোরবানির ঈদে দা, ছুরি, বটি তৈরি, শানকাজে ব্যস্ত সময় পার করতাম। লোকজন আগের মতো আর দা, ছুরি, বটি নিয়ে আসে না এবং অর্ডারও দেয় না।
সন্তোষপাড়ায় কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, প্রতি বছর এ ঈদের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করেন। বছরের সবচেয়ে বেশি আয় হয় এই ঈদেই। এখন সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।