Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোর-পুঠিয়ায় সিলগালা

অবৈধ হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার

যশোর ব্যুরো ও পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

যশোরে মোট ৮টি অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। জেলায় চিহ্নিত করা হয়েছে আরো ২১১টি। গত দুইদিনে অভিযান চালিয়ে এগুলো সিলগালা করা হয়। যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মাউদ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সরকারি অনুমোদন না থাকা, নবায়ন না করাসহ বেআইনিভাবে জেলায় অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। আমরা অভিযান শুরু করেছি। ঈদের পর ব্যাপকভাবে অভিযান চলবে।
সূত্র জানায়, যশোর জেলায় মোট ২৬২টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তার মধ্যে ২১১টিই নিয়মনীতি ও আইন বহিভর্‚ত চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে সিলগালা করা অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে রয়েছে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ প্রগতি হাসপাতাল, নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মুন হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (কুয়াদা শাখা)।
এদিকে, পুঠিয়ার বানেশ্বরের পুস্প ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ওলিউজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নাজমা আক্তার ও পুঠিয়া থানার সদস্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বানেশ্বর বাজার ট্রাফিক মোড়ে অবস্থিত পুস্প ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক দীর্ঘ দিন ধরে লাইসেন্স ব্যতীত পরিচালনা করায় মালিক রবিউল ইসলামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এসময় ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ওলিউজ্জামান জানান, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ন্ত্রণ করেন সিভিল সার্জন। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক ও পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নাজমা আক্তার পুস্প ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। এসময় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকটিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও যে সকল সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার তা না থাকায় আমাদের জানান।
খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। ক্লিনিকের মালিক যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত লাইসেন্স ও ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যে সকল সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার তা পূরণ করলে ক্লিনিকটি খুলে দেব। এছাড়াও উপজেলার যে কোন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনিয়মের অভিযোগ আমাদের জানালে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ