পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে তৃতীয় দফা বন্যা চলছে। সরকার বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে বন্যা শেষে সময় মতো কার্যকর পুনর্বাসন কর্মসূচি নিতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বন্যা নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বৈঠকে জানানো হয়, এ পর্যন্ত বন্যায় ৩১ জেলার প্রায় ৪০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্ধারিত বিষয়ে বন্যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হলে, সেক্ষেত্রে কীভাবে মোকাবিলা করব। এজন্য মাঠ পর্যায়ে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া আছে। কারণ হলো- উদ্বেগ হচ্ছে পানি নামতে দেরি হতে পারে। যদিও এখন পানি নেমে যাচ্ছে। তারপরও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছেন।
বৈঠকে বলঅ হয়, গত এপ্রিল থেকে জুন তিন মাসে মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে মোট ২০টি। বাস্তবায়নের হার ৭১.৪৩ শতাংশ। ওই তিন মাসে বৈঠকে কোনো নীতি বা কর্মকৌশল, চুক্তি বা প্রটোকল অনুমোদিত হয়নি। এ সময়ে সংসদে আইন পাস হয়েছে ৩টি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিস্কার নির্দেশনা দিয়েছেন, বন্যায় মানুষের যত রকমের সাহায্য সহযোগিতা দরকার তা করতে হবে। কোভিডের এই সময় যেহেতু বন্যা তাই একটু বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। আর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করেন তারা অবশ্যই বন্যা আক্রান্ত এলাকায় থাকবেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পুনর্বাসন কর্মসূচিগুলো যেন খুব ভালো সময়মতো ও কার্যকর হয় সেদিকে জোর দিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। বর্তমানে আমনের ক্ষতি হলেও পলির কারণে বন্যার পরের সুফলটা নিতে কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উঁচু এলাকায় আমনের ফলন ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, রোপা আমনের বিষয়ে যেন খুব মনযোগ থাকে। এর পুরো সুযোগটা নিতে পারলে বোরোতে অতিরিক্ত যে উৎপাদন হয়েছে তা আমন ও রোপা আমন মিলে ভালো হলে সেক্ষেত্রে একটা বড় হাতিয়ার হবে। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ আছে। যেখানে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র পর্যাপ্ত নয় সেখানে আমি নিজে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলে দিয়েছেন ওই এলাকাতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় লোকজন আশ্রয় নিতে পারে।
তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বিশেষ করে করে গরু বাছুরকে যে ভ্যাকসিন দেয়ার সেগুলো যেন সব নিয়মিত দেয়া হয়।
খন্দকার আনোয়ার বলেন, কোভিডের কারণে ত্রাণ সরবরাহের জন্য সরকারের প্রস্তুতি ছিল। সবকিছু উন্মুক্ত করে দেয়ায় ত্রাণের চাহিদা কমে গেছে। ভালো একটা ত্রাণ মজুত আছে। ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।