Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এমাজউদ্দীন উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়েছেন : খন্দকার মাহবুব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২০, ১১:১৭ পিএম

প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদের কর্ম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সাহস যোগাবে। এছাড়া তার চিন্তা, চেতনা, বিশ্বাস, জাতীয়তাবদী চেতনার মুক্তিকামীদের আরো শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ স্মারনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জাতীয় জনতা ফোরাম আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী আ.হ.ম. মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিক। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারের পরিচালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও এডভোকেট মোহাম্মদ স্বপ্নীল সরকার।

সভায় এমাজউদ্দীন আহমদকে উঁচুমানের বুদ্ধিজীবী উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি তার একটা দায়বদ্ধতা ছিলো। তিনি ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের একজন দৃঢ় প্রবক্তা, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের একজন অতন্ত্র প্রহরী। গণতন্ত্রের একজন সাহসী বলিষ্ঠ সংগ্রামী যোদ্ধা হিসেবে তিনি সবসময় প্রেরণা যুগিয়েছেন। উদার গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পথ দেখিয়েছেন। তাই তিনি আমাদের মাঝে আর ফিরে না আসলেও তার কাজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে আমাদের সারা জীবন অনুপ্রেরণা যোগাবে।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ব্যর্থ এ সরকার দেশ, দেশের স্বাস্থ্যখাত এমনকি দেশের মানুষের চরিত্র ধ্বংশ করে দিয়েছে। করোনা রিপোর্ট জালিয়াতিতে বিশে^ দেশের সম্মান নষ্ট হয়েছে। তাই নিজেরা বাঁচতে এবং দেশকে বাঁচাতে হলে সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। নয়তো গণতন্ত্রের মুক্তি অসম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধান আলোচকের বক্তেব্যে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের কর্মময় জীবন তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষ তার কাছে ঋণী। তার যে রাষ্ট্রচিন্তা ছিলো, তাতে ছিলো দেশ, সমাজ, জাতি, রাজনীতি, গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। তাই যে সময়ে যা প্রয়োজন ছিল, সেই সময়কে ধারণ করে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ জাতি, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে যাওয়ার যথাযথ পরামর্শ দিয়েছেন। সে সাথে এগুলোকে সমন্বয় করে তিনি তার বই রচনা করেছেন, পত্র-পত্রিকায় অসংখ্য প্রবন্ধ লিখেছেন। এমাজউদ্দীন আহমেদ সময়কে ধারণ করতেন মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যে সময়ে জাতির যা প্রয়োজন সেই সময়কে ধারণ করে এমাজউদ্দীন আহমদ নীতি-নির্ধারণী জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দিতেন, ভূমিকা রাখার চেষ্টা করতেন। মান্না সরকারের কাছে আহবান জানান এমাজউদ্দীন আহমদ এর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা হল নির্মাণ করা হোক।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ সরকার মানুষকে মানুষ মনে করে না। কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, এই সাহেদ সরকারেরই তৈরি। তাই তাকে আটক করতে নয়দিন সময় লেগেছে। এছাড়া বিনা চিকিৎসায়রমানুষ মারা যাচ্ছে, রাজধানী বৃষ্টির পানিতে ডুবছে, প্রতিটি খাতে ভয়াবহ দূর্ণিতী হচ্ছে অথছ সরকার সেদিকে খেয়াল না করে উন্নয়নের শ্লোগান দিচ্ছে। এ অবস্থায় এ সরকারকে দিয়ে কিছু হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ