Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের সাথে দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করুন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২০, ৭:৫২ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দেশ দুর্নীতি ও বন্যা কবলিত। স্বাস্থ্যখাতসহ রাষ্ট্রের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেও দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে ভারতের আসাম ত্রিপুরা রাজ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য উম্মুুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের চরম স্বার্থবিরোধী। একইসাথে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরে ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার দূরভিসন্ধি। সেইসাথে দেশে ভারতীয় উপনিবেশ কায়েমের সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত চলছে। তিনি অবিলম্বে ভারতের সাথে স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের জোর দাবি জানান।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারতের সাথে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিলের দাবি, স্বাস্থ্যখাতসহ সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদ ও শিক্ষক, কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন বোনাস ঈদের আগেই পরিশোধ করার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ছাত্রনেতা এম হাছিবুল ইসলাম, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, যুবনেতা মাহবুব আলম, মু. হুমাযুন কবীর, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সবুর, অধ্যাপক ফজুল হক মৃধা, শ্রমিকনেতা জাকির হোসেন, ছাত্রনেতা আখতারুজ্জামান।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ১৯৭৫ সালে ভারত পরীক্ষামূলকভাবে ৪১ দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বলে সেই বাঁধ আজ ৪৫ বছরেও বন্ধ হয়নি। এবারও পরীক্ষামূলক চুক্তির মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ভারত স্বাধীন বাংলাদেশে ব্রিটিশ উপনিবেশের পুনঃমঞ্চায়ন করতে মরিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, নতজানু ও গণবিচ্ছিন্ন সরকার জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। ফলে জাতিসত্ত্বা চরম হুমকির মুখে। ভারতের সাথে কোন চুক্তি নয়। বিনা ট্যারিফে এ গোলামী চুক্তি যারা করছে তারা ভারতের বন্ধু হতে পারে এদেশের জনগণের বন্ধু নয়। এ সরকার এর আগে ৩০ দফা চুক্তি করেছে ভারতের সাথে। সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার কারণে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্নীতি চলছে। মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রবল বিরোধীতা সত্ত্বেও সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি করে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে তিলে তিলে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করা হয়েছে। ভারত ট্রান্সশিপমেন্টের নামে করিডোর সুবিধা নিচ্ছে। এদেশের জনগণ ভারতের সাথে কোন চুক্তি করতে রাজি নয়। তিনি ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের জোর দাবি জানান।



 

Show all comments
  • jack ali ২৭ জুলাই, ২০২০, ৯:২৩ পিএম says : 0
    In Islam Action Speaks--- Did Prophet [SAW] only speak???????????? again we need to Liberated our Country from enemy of Allah.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ