Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাংবিধানিক ৪০টি পদে নিয়োগ নিয়ে অলি-দেউবা বৈঠক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

নেপালে বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক কমিশনে নিয়োগে বিলম্বের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি ও নেপালি কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা পদগুলো ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি সংবিধানের চেতনার ওপর আক্রমণ।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ দুই নেতা চুক্তি চ‚ড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেন এবং গতকালও তাদের বসার কথা ছিল। বিরোধী দলের নেতা, কমিশনের সদস্যের সাথে ঐকমত্যে পৌঁছে গেলে অলি সাংবিধানিক কাউন্সিলের বৈঠক ডাকবেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট ভিমার্জুন আচার্য বলেন, অলি ও দেউবার আচরণ নিন্দনীয়। তিনি বলেন, ‘অলি ও দেউবার মনোনীতরা প্রতিষ্ঠানের প্রতি কখনোই অনুগত হতে পারেন না। তার পরিবর্তে তারা নিয়োগকর্তাদের প্রতি অনুগত থাকবেন। এ জাতীয় নিয়োগপ্রাপ্তের আইনী কর্তৃত্ব থাকতে পারে, তবে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করার নৈতিক কর্তৃত্ব থাকবে না’।
শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) উপ-সংসদীয় দলের নেতা সুবাস নেম্বাং বলেন, অলি ও দেউবা ১৩টি সাংবিধানিক কমিশনে নিয়োগের বিষয়ে একমত হতে পারেন। ওই কমিশনগুলোয় ৪০টি সাংবিধানিক পদ পূরণ করার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেউবার সাথে চুক্তির পর প্রধানমন্ত্রী অলি পরিষদের একটি সভা ডাকবেন, সম্ভবত তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই’।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান আলোচনার বিষয় ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত তদন্ত কমিশন, দুর্নীতি দমন পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেকের দুটি পদ শূন্য রয়েছে। নেপাল কংগ্রেস দুর্নীতির তদারকি ও নির্বাচন কমিশনে একটি করে পদ চায়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা নেপাল পুলিশের প্রাক্তন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জয়া বাহাদুর চাঁদকে একটি পদে রাখতে চায়, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব প্রেম কুমার রাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের এ কাউন্সিল সংসদীয় শুনানির মাধ্যমে সংবিধান কমিশনগুলোয় নিয়োগের জন্য সুপারিশ করছে।
কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ল’র প্রাক্তন ডিন বিপিন অধিকারীর মতে, সংবিধানের সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের নিকটবর্তী হওয়ায় সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত নামগুলো যাচাই করার জন্য বিরোধীদলীয় নেতার অন্তর্ভুক্ত করার কল্পনা করছেন। ‘তবে অলি ও দেউবার মধ্যে যদি কোনও চুক্তি হয়, অন্য সদস্যরাও এটিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সাহস পাবে না’ -বলেছিলেন তিনি। নেপালি কংগ্রেস নেতারা বলছেন, অলি অতীতে একচেটিয়া নিয়োগ দিয়েছেন, তারা এর পুনরাবৃত্তি চান না। সাংবিধানিক সংস্থাগুলোয় নিয়োগ অলির অগ্রাধিকারমূলক নয়। বিরোধীদের ঐকমত্যে নেয়া উচিত।
সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উভয় দলের মধ্যে চলমান আলোচনা সংবিধান পরিষদকে রাবার স্ট্যাম্পে পরিণত করবে, যা নেপালের সংবিধানের প্রত্যক্ষ লঙ্ঘন। সূত্র : দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ